পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মূল ভবনের নিচ তলায় স্থাপিত এ কর্নারের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রাক্কালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের ৭৭টি বৈদেশিক মিশনে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ স্থাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে বঙ্গবন্ধুর কিছু দূর্লভ ছবি এ কর্নারে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’ আমরা এখনো ধারণ করে আছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নির্যাতিত মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা, সত্য ও ন্যায়ের পথে তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ এবং পৃথিবীর সকল নির্যাতিত মানুষের প্রতি তার জয়গান- আমরা সারা পৃথিবীতে পৌঁছে দিতে চাই।
বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন। মানুষের মঙ্গলের জন্য বিশেষ করে বাঙালিদের জন্য তার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। ঘাতকরা তাকে নির্মূল করলেও তার বাণী অমর হয়ে আছে, বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ অর্জনের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, তা আমরা পৃথিবীর সব দেশে পৌঁছে দিয়ে বাংলাদেশকে অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে ব্রান্ডিং করতে চাই।
বঙ্গবন্ধু কর্নারে অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেলে লেজার কাট করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপিত হয়েছে। বাংলায় ও ইংরেজিতে লেখা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত দেয়ালের দু’পাশে স্থাপিত হয়েছে। এখানে টিভি মনিটরে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে। বিদেশি কূটনীতিক ও দর্শনার্থীরা যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জানতে পারে সেজন্য এ কর্নারে বঙ্গবন্ধুর ওপর বিভিন্ন ভাষায় লিখিত বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের মন্তব্যের জন্য ‘ভিজিটরস বুক’ রাখা হয়েছে।