সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যে বেফাঁস মন্তব্য এবং অডিও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
রিটে জামালপুর-৪ আসনের মুরাদ হাসানে কর্মকান্ডের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
আরও পড়ুন: মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি তোলে বিএনপি। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই একটি ফোন আলাপের অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেশের একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে মুরাদ হাসানের অশালীন ভাষায় কথা বলতে এবং তাকে হুমকি দিতে শোনা যায়।
তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরেরদিন মঙ্গলবার দুপুরে ডা. মুরাদ হাসানের পক্ষে পদত্যাগপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়ে আসেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
আরও পড়ুন: এবার মুরাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি বিএনপির
পরে সেটি সারসংক্ষেপ আকারে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার রাতে মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাতেই এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
একই দিন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।