মেরিটাইম বাদ দিয়ে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দরে সংগৃহীত ৭ ধরনের ২৪টি যন্ত্রপাতি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ-বিদেশে নয়, আমরা বিশ্বের সঙ্গে থাকতে চাই। দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আমরা এগিয়ে যাব। নৌপরিবহন খাত এগিয়ে যাচ্ছে। মেরিটাইম বাদ দিয়ে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের বঞ্চনার ইতিহাস দূর হয়ে গেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ বাংলাদেশের সক্ষমতা বেড়ে গেছে। আমাদের পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিনাল, পায়রা বন্দর এগুলো আমাদের সক্ষমতার উদাহরণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চট্টগ্রাম বন্দর বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বিষয়ের প্রতি জোর দিয়েছেন। সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে। বঙ্গবন্ধু টানেল আরেকটি গর্বের বিষয়। সমগ্র পৃথিবীতে আমাদের সক্ষমতার কথা জানিয়ে দিচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী পরে বন্দর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থাপিত ট্রেনিং সিমুলেটর ও নবনির্মিত অফিসার্স ডরমেটরি ভবন উদ্বোধন করেন।
সিমুলেটর ক্রয়ে ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। সিমুলেটর রিপেয়ার, মেইনটেনেন্স, ট্রেনিং ও খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অফিসার্স ডরমেটরি ভবনটি ১০ তলা বিশিষ্ট ৩২ ইউনিটের।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম সোহায়েল।
চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য প্রায় ৯১৪ কোটি টাকা দিয়ে ১০৪টি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ৩৯৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার সাত ধরনের ২৪টি যন্ত্রপাতি বন্দরের অপারেশনাল কাজে যুক্ত হয়েছে। অবশিষ্ট যন্ত্রপাতি পর্যায়ক্রমে যুক্ত হবে।
নতুন সংগৃহিত যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে- ২৪৩ কোটি টাকার চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭০ কোটি টাকা মূল্যের ছয়টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন, ১৪ কোটি টাকায় চারটি রিচ স্টেকার, ২৫ কোটি টাকার চারটি ভেরিয়েবল রিচ ট্রাক, সাত কোটি টাকার দুটি কন্টেইনার মুভার, ২০ কোটি টাকার দুটি মোবাইল ক্রেন (১০০ টন) এবং ১১ কোটি টাকায় দুটি মোবাইল ক্রেন (৫০ টন)। এ ছাড়া নতুন করে কেনা চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ বন্দরের বহরে বর্তমানে ১৮টি গ্যান্ট্রি ক্রেন রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২২ ২৩ অর্থবছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩০ লাখ ৭ ৩৪৪ টিইইউস, জেনারেল কার্গো ওঠানামা হয়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৩ টন। জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৪২৫৩টি।
আরও পড়ুন: বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে দুর্নীতিবাজ মা ও ছেলেকে রক্ষার রাজনীতি: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব ছিল বলে দেশ স্বাধীন হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী