তিনি বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন এবার অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ব্যাপক আকারে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইলিশ ধরার সাথে সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবী, জেলেসহ যারা মাছ বিপণন করেন সবার ভূমিকা রয়েছে। মা ইলিশ সংরক্ষণের সময় মৎস্যজীবীরা যাতে কষ্টে না থাকেন, সেজন্য এবার অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি ভিজিএফ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি বরাদ্দ করা হবে।’
বুধবার নৌপুলিশের ব্যবস্থাপনায় নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ব্রিজ ঘাট থেকে নৌপথে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ঘাট পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় শত শত জেলে ও মৎস্যজীবী নদীতে নৌকা ও ট্রলারে করে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের গুরুত্বসম্বলিত শ্লোগান দিয়ে ও গান গেয়ে অভিযানের ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন।
পরে মোহনপুরে স্থানীয় জেলে ও মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রী।
রেজাউল করিম বলেন, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণে আমাদের সহায়তা করুন। আশা করি আমাদের এ অভিযান সার্থক করতে যে যেখানে আছেন সহায়তা করবেন।’
‘আমরা এবার কঠোর। আমাদের এ অভিযানকে নষ্ট করার জন্য কেউ যদি গভীর রাতেও মা মাছ ধরতে আসে তাদের আটকানোর জন্য নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে। এমনকি আকাশপথে নজরদারির জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার থাকবে। যারা মা ইলিশ সংরক্ষণে সহায়তা করবেন না, তাদের ঠিকানা হবে জেলখানা। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের সাথে সাথে সাজা দেয়া হবে। কাজেই কোনো দুর্বৃত্তের প্ররোচনায় মৎস্যজীবী ভাইয়েরা মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে বিঘ্ন ঘটাবেন না,’ বলেন তিনি।
পরে বেলুন উড়িয়ে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. ইমদাদুল হক, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।