এ সংক্রান্ত এক রুলের শুনানিকালে বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
পরে তিনি বলেন, দেশের সড়কে প্রায় ৪০ লাখ গাড়ি চলাচল করে। সড়কগুলোতে কী ধরনের গাড়ি চলছে, তা পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে ফিটনেস টেস্টিং সেন্টারের সংখ্যা অপ্রতুল। এ বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেছি। আদালত সারাদেশে ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৩ নভেম্বর এ ব্যাপারে পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ফিটেনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে বিবাদিদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে গণপরিবহনের ফিটনেস নিশ্চয়তা ও নজরদারিতে বিবাদিদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপরে (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক, বিআরটিএর ইনফোর্সেমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সারা দেশের যানবাহনের ফিটনেসের বিষয়ে একটি সমীা চালানোর জন্য সরকারকে কমপে ১৫ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন এবং আদালতে এর প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
হাইকোর্টের ওই আদেশের অধীনে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির একটি জরিপের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রিটকারী তানভীর আহমেদ বলেন, দেশের ৩৩ শতাংশ যানবাহনের ফিটনেস নেই, যদিও তাদের অনেকের ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে। এজন্য ফিটনেস যাচাই করতে আরও বেশি ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার স্থাপনের আবেদন জানানো হয়।
বিআরটিএ এর আইনজীবী মো. রফিউল ইসলাম হাইকোর্টকে বলেন, ইতোমধ্যে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার জন্য আরও ১২টি সেন্টার স্থাপনের জন্য বিআরটিএ দরপত্র দিয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই রিট হাইকোর্টে রিট করেন তানভীর আহমেদ।