রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকার ৯৫২টি পুকুর সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রাজশাহী শহরে যেন আর কোনো পুকুর দখল ও ভরাট না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি’র) এক রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ আদেশ বাস্তবায়নে রাসিক মেয়র, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্য এক আদেশে রাজশাহী শহরের পুকুরগুলো যেন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় তা নিশ্চিত করার জন্যও বলা হয়েছে। এছাড়া মামলাটি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এইচআরপিবি’র প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
মনজিল মোরসেদ বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় পুকুর ভরাট বন্ধের দাবিতে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। হাইকোর্ট তখন রুল জারির পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকায় কতগুলো পুকুর আছে, তা জানতে রাজশাহী জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন।
রুলে রাজশাহী মহানগরে (রাসিকের) ভেতরে পুকুর ভরাট বন্ধে এবং সেগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এরপর ওই আদেশ অনুযায়ী রাজশাহী জেলা প্রশাসক হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন পাঠান। তাতে দেখা যায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৫২টি পুকুর রয়েছে।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, সবশেষ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্লট করে বিক্রির জন্য সংরক্ষিত দীঘি ভরাট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ সংযুক্ত করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকার সব পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করি। সম্পূরক আবেদন ও রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষিকা সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট