অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে যে কোনো সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ মুদ্রা বিনিময়ের মতো বিকল্প পথ অনুসরণ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না, যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে। এমন হলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাববো।’
বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিপিপি) পরপর দুই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
সিসিপিপি রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন ‘প্রোডিন্টরগ’ থেকে ১৫০ দশমিক ২১ কোটি টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানিসহ মোট ১২টি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে এ সার আমদানি করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন।
আরও পড়ুন: দেশের উপকূলীয় এলাকার মৎস্য খাতের উন্নয়নে সহায়তা দেবে জাপান
রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের নিষেধাজ্ঞা এবং সুইফট সিস্টেমে দেশটির ব্যাকিং পেমেন্টের ব্যবস্থাও রাখা হয়নি। এর ফলে বাংলাদেশ সময় মতো রাশিয়ার কাছ থেকে সরবরাহ পাবে কি না এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে সুইফটের মাধ্যমে অর্থপ্রদান ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হলে বাংলাদেশ কী ব্যবস্থা নেবে; এমন প্রশ্ন করা হয় অর্থমন্ত্রীকে।
জবাবে তিনি বলেন, যুদ্ধ শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে। ‘ওই দিক থেকে আমরাও বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছি। পাশাপাশি আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রেখেছি।’
এছাড়া সরকার বিকল্প উৎসের বিবেচনা করছে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সুইফটে নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা যদি রাশিয়াকে অর্থ প্রদান করতে না পারি তাহলে আমাদের মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যমে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে ভোট দেয়া থেকে বিরত বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সুসম্পর্কের কথা অস্বীকার করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এই পণ্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমদানি করছি। এখনও আমরা সেটি আমদানির অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি। তারা যদি দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা অবশ্যই বিকল্প উৎস বের করবো।’