রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল আন্দোলনকারী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে স্বাধীনতা ও সুরক্ষা প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: বিসিএস কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে চট্টগ্রামে নার্সদের কর্মবিরতি
পরে হাইকোর্ট মাজার মোড়ের কাছে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। তবে বাধা অতিক্রম করে তারা বঙ্গভবন পর্যন্ত অগ্রসর হন।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবনের ভেতরে অবস্থান ধর্মঘটের চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সেখানে যেতে বাধা দেন। এরপর বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের বাইরে আধা ঘণ্টা সমাবেশ করে বক্তব্য দেন।
দাবি মানা না হলে বুধবার বিকাল ৪টায় আবারও বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হবেন বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা ‘রক্তিম জুলাই ২৪’ নামে আরেকটি গ্রুপ। রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবি জানিয়ে কয়েকজন আহত ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে পৃথক অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করে তারা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের পর সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্টার শেয়ার করে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তবে পদত্যাগপত্রসহ এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।
তিনি বলেন, 'আমি অনেক চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জোগাড় করতে পারিনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’
রবিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখ'-এ এই কথোপকথন প্রকাশিত হয়।
নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রধান সড়ক থেকে ছোট যানবাহন অপসারণের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির