একই সাথে তিন আসামির জামিন নামঞ্জুর ও তিন আসামিকে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মো. হাসান এবং মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে আদালত। অন্যদিকে, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, কামরুল ইসলাম সাইমুন ও মো. সাগর পরীক্ষায় অংশ নেয়ার আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে, কারাগারে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেই সাথে জামিনে থাকা রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বাবার সাথে আদালতে হাজির হন।
আদেশের পর বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, ‘২৮ নভেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। একই সাথে হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা মিন্নিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামানত নামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।’
রিফাত হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক বাকি আসামিরা হলেন- রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. মুসা ও রাফিউল ইসলাম রাব্বি। তাদের মধ্যে মুসা পলাতক।
প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্র বিচারের জন্য প্রস্তুত করে ৬ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
পুলিশ ১ সেপ্টেম্বর রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র জমা দেয়। একই সাথে মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।