এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ১৭ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছে আদালত।
আজ আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।
‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ-১৯৮২’ যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম ২০১৮ সালের জুনে হাইকোর্টে রিটটি করেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৪ জুলাই হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত মাসে হাইকোর্ট বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পরীক্ষার ফি নির্ধারণের অগ্রগতি জানাতে বলে। একই সঙ্গে ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশের বিধান যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের অগ্রগতিও জানাতে বলা হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। রাষ্ট্রপক্ষ আজ আদালতে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। এর আগে রিট আবেদনকারী পক্ষ হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করে। পরে শুনানি নিয়ে আদালত রুল দেয়।
রুলের পর বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন আছে। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ কমিশনে জানানো যায়। এ কমিশন রোগীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। (আমাদের দেশে) স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে। যে কারণে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে ওই সম্পূরক আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছে।’