এই চালানে প্যাডেলযুক্ত এক হাজার সেলাই মেশিন, ৩২টি অফিস তাঁবু, ৩২টি উদ্ধার সরঞ্জাম এবং ৯৯টি ফ্যামিলি তাঁবু হস্তান্তর করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, ত্রাণ সহায়তার এই চালানটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত বছরের ৫ অক্টোবর ভারত সফরের সময় দেয়া প্রতিশ্রুতির অংশ।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের কক্সবাজারের অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মানবিক প্রচেষ্টায় সহায়তা করতেই এই ত্রাণ সামগ্রীগুলো পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই ত্রাণসামগ্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নারীদের দক্ষতা বিকাশে এবং রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করবে।
পঞ্চম চালানটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া একটি প্রক্রিয়ার অংশ, যখন ভারত সরকার মানবিক সহায়তার প্রথম চালান সরবরাহ করেছিল।
৯৮১ মেট্রিক টনের এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, চিনি, লবণ, রান্নার তেল, চা, নুডলস, বিস্কুট, মশারি ইত্যাদি।
২০১৮ সালের মে মাসে ৩৭৩ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করে ভারত। যার মধ্যে ছিল ১০৪ মেট্রিক টন গুড়ো দুধ, ১০২ মেট্রিক টন শুঁটকি, ৬১ মেট্রিক টন শিশুখাদ্য এবং বর্ষা মৌসুমে ব্যবহারের জন্য ৫০ হাজার রেইনকোট ও ৫০ হাজার জোড়া গামবুট।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তৃতীয় চালান সরবরাহ করা হয়, যেখানে ১১ লাখ লিটার সুপার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ হস্তান্তর করা হয় এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার কম্বল, দুই লাখ উলের সোয়েটার এবং ৫০০টি পরিবেশবান্ধব সৌর সড়কবাতি।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের উদারতা ও মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যেকোনো বাধা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার কথা জানিয়েছে ভারত।