রবিবার সকালে রামু সেনানিবাসে সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক ৬টি ই্উনিটকে কালার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে, তাই যথাসময়ে শেষও হবে।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে। যাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজ মাতৃভূমি থেকে পালিয়ে এসেছে।
আগামী মাসে মিয়ানমার সফরে যাবেন জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘সেখানে দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কথা হবে। যত বেশি আলোচনা হবে, তত বেশি দুদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হবে। আলোচনায় নানা বিষয় উঠে আসতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হতে পারে। যাই হোক দেশের স্বার্থে কথা হবে।’
রামু সেনানিবাসের অধীনস্থ ৬, ৯ ও ২৭ রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৬ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটেলিয়ন এবং ১৩ ও ১৪ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টসমূহকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
এসময় তিনি বলেন, রেজিমেন্টসমূহ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ধারাবাহিক ও প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে রেজিমেন্টাল কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যেকোন ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান। কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত রেজিমেন্ট কালারের মর্যাদা এবং সেনাবাহিনীর প্রতি জাতির আস্থা অটুট রাখার জন্য যেকোন ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।
জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্ব ভূমিকা রেখে চলেছে। ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখণ্ডতা রক্ষা ও জাতীয় যেকোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত থাকবে।
অনুষ্ঠানে ১০ পদাতিক ভিশনের জিওসি জেনারেল মো: মাঈন উল্লাহ চৌধুরী, সাবেক পাঁচজন সেনাপ্রধানসহ সাবেক সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।