বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মুনিরুজ্জামান বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অর্থনৈতিক বোঝা বাড়ায়, তাই নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং বাস্তবসম্মত সমাধান তৈরি করতে হবে।
বিআইপিএসএস সভাপতি রোহিঙ্গা শরণার্থী আগমনের ঐতিহাসিক সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করেন এবং উল্লেখ করেন যে এর কোনো শেষ নেই।
আরও পড়ুন: কসমস-বিআইপিএসএস গোলটেবিল: ইউক্রেন সংঘাতের বিরূপ প্রভাব কাটাতে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে
তিনি বলেন, ‘তার কথায়, প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট: ভবিষ্যৎ পুনর্নির্মাণ’ শীর্ষক লেকচার ক্লাবের আয়োজন করে বিআইপিএসএস।
বিআইপিএসএস-এর সভাপতিরি বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় এবং পরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস-এর নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার মনজুর হাসান ওবিই পরিচালনা করেন।
ব্যারিস্টার মনজুর হাসান বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তার বক্তব্য শুরু করেন।
তিনি শরণার্থী শিবির থেকে নারী ও মেয়েদের পাচার হওয়া, শরণার্থীদের জন্য তহবিল হ্রাস এবং সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের পরিবর্তিত বাস্তবতার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করেছেন।
তিনি আসিয়ান এবং জাতিসংঘের (ইউএন) মতো আন্তঃসরকারি সংস্থাগুলোর সমালোচনা করেছিলেন।
মনজুর হাসানের কথায়, কফি আনান রিপোর্টেই এর সমাধান রয়েছে।
তার কথা ও চিন্তার মধ্যে রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে শাসন, আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রহীন কর্তাব্যক্তিদের সমন্বিত ভূমিকা এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।
রাখাইনের কর্তাব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই সমস্যাটি সেই অঞ্চল থেকেই উদ্ভূত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিদেশি ও অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক, অবসরপ্রাপ্ত বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
বেইল আউটের জন্য নয়, সতর্কতা হিসেবে আইএমএফের ঋণ নিচ্ছে ঢাকা: কায়কাউস