তাদের এ পরিদর্শন রোহিঙ্গা সম্প্রদায় ও মানবিক সহায়তাকারী কর্মীদের জন্য আরো আন্তর্জাতিক সহায়তাকে বেগবান করবে।
এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, তাদের সাথে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।
সোমবার সকাল পৌনে নয়টায় রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান তারা।
এই সফর রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে বাংলাদেশের ‘উদারতা’ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ‘আরো কিছু করার’ প্রয়োজনীয়তার কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানায়, তারা বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করবেন। সেই সাথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সাথে তাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে অগ্রগতি মূল্যায়ন করবেন।
এই সফরের আরো লক্ষ্য হচ্ছে- রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় আরো সংলাপের ব্যবস্থা করতে উদ্বুদ্ধ করা এবং রোহিঙ্গাদের অবস্থার ব্যাপক সমাধানের জন্য জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করা।
রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট কিম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতির ব্যাপারে আমরা সকলে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
বাংলাদেশের উদার সমর্থনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া উদার দেশগুলোকে শাস্তি দেয়া উচিৎ নয়।
অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, রোহিঙ্গা আমাদের দেশের জন্য বিশাল বোঝা। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে নিরাপদে ও মর্যাদার সাথে ফিরে যাক।
পরিস্থিতিকে মানবিক ট্র্যাজিডি উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের প্রধান বলেন, এই সমস্যাটির শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
গত বছরের আগস্ট থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নেয় সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা। এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং দ্রুত বর্ধনশীল শরণার্থী শিবির তৈরি করে। এর ফলে এদেশের পরিবেশ, অবকাঠামো, এবং সামাজিক সেবায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে।