র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে আবারও নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী দেশে সন্ত্রাস দমনে এলিট বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা তাদের দিয়ে এদেশে সন্ত্রাস দমন করেছি। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মানে কি? (এটা কি) সন্ত্রাসীদের সমর্থন করা? আমার প্রশ্ন হল সন্ত্রাস দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট কিনা’?
বৃহস্পতিবার সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে তার সরকারি সফরের ফলাফল নিয়ে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: র্যাব কে সৃষ্টি করেছে?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে র্যাব গঠন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের (র্যাবের কর্মীদের) প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, হেলিকপ্টার, এমনকি ডিজিটাল সিস্টেম এবং আইসিটি সিস্টেম সহ সবকিছু প্রদান করে।
তিনি বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র যখন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, কোনো কথা বা অভিযোগ তোলে, তখন আমি একটি কথা বলতে চাই যে তারা (র্যাব) যে প্রশিক্ষণ পেয়েছে, সে অনুযায়ী তাদের কাজ করেছে।
তিনি বলেন, র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো অপরাধ করলে বাংলাদেশে তার বিচার হয়। কিন্তু মার্কিন পুলিশ যদি ইচ্ছামতো কাউকে হত্যা করে, তবে সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) তাদের (পুলিশ সদস্যদের) সবসময় বিচার করা হয় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ যখন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল তখন শুধুমাত্র একটি ঘটনার বিচার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন যে তারা (মার্কিন পুলিশ) একটি তুচ্ছ বিষয়ের জন্য মানুষকে গুলি করে। তারা পকেটে হাত রাখার জন্য বা খেলনা পিস্তল বহন করার জন্য একটি নাবালক শিশুকে হত্যা করেছে।
হাসিনা বলেন, সেখানে কত বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই বলে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাদের এই বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমি অলস বসে থাকিনি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে শুরু থেকেই এই অভিযোগ ঢাকা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সফল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী