বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম সারওয়ার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছয়জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনার সময় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার পর বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানাল আইএসপিআর।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার দুর্গম এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনাকালে শহীদ হন ২৩ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট তানজিম।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইএসপিআর
এ ঘটনার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওই এলাকায় চিরুনি অভিযান চালালে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কর্তৃপক্ষ আটকদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড বিভিন্ন ধরণের গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ ট্রাক এবং একটি মোটরসাইকেলসহ উল্লেখযোগ্য প্রমাণ উদ্ধার করেছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটকদের মধ্যে চারজন সরাসরি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, বাকি দুজন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) ও মো. হোসেন (৩৯)।
এদের মধ্যে মো. বাবুল প্রকাশকে অভিযানের মূল অর্থদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়ে তিনি লেফটেন্যান্ট তানজিমকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।
এছাড়া ডাকাত দলের দ্বিতীয় নেতা মো. হেলাল উদ্দিন, চালক মো. আনোয়ার হাকিম, সশস্ত্র সদস্য মো. আরিফ উল্লাহ, সোর্স মো. জিয়াবুল করিম ও মো. হোসেন সকলেই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ডাকাত চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আটক ছয়জনকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেনা সদস্যদের মাধ্যমে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানের সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট নেই: আইএসপিআর