জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সাড়ে ৬ হাজারের অধিক বাংলাদেশি বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নানা ভূমিকা পালন করছেন। তাদের কেউ কেউ সহিংসতা ও সংঘাতে আক্রান্ত লাখো মানুষকে সুরক্ষা দেন এবং অন্যরা তাদের মৌলিক সেবা সরবরাহ ও সাহায্য পাওয়া নিশ্চিত করেন।
সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে শান্তি ও উন্নয়ন প্রসারে এক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কুশীলব হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে।’
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে নিজেদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে পরিবর্তন আনতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে সেপ্পো বলেন, নারী শান্তিরক্ষীর সংখ্যা, যাদের বাংলাদেশ খুব দক্ষতার সাথে মোতায়েন করেছে, তাদের বাড়ানো অব্যাহত রাখা উচিত।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জানান, জাতিসংঘের নীতিমালা ও মানবাধিকার বিষয়ক সাম্প্রতিক সুপারিশগুলোর আলোকে মোতায়েনের জন্য, বিশেষ করে সিনিয়র পদগুলোর জন্য কর্মকর্তা বাছাই কাজে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ জাতিসংঘ থেকে সহায়তা চাওয়ার ইচ্ছা জানাতে পারে।
তিনি বলেন, শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অবদান বিশ্বে অন্যতম। গত ১০ বছর ধরে সেনা সরবরাহকারী দেশগুলোর প্রথম চারটির মাঝে রয়েছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি কূটনৈতিক বিটের সাংবাদিকদের সাথে এক আলোচনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, শান্তিরক্ষায় যৌন শোষণ ও নির্যাতন বিষয়ে জিরো টলারেন্সসহ জাতিসংঘ মহাসচিবের সংস্কার কর্মসূচির এক গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক বাংলাদেশ।
‘শান্তির সংস্কৃতি’ এবং নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক রেজুলেশনে স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হওয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘টেকসই শান্তি’ এজেন্ডাকে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ। সেই সাথে হিংস্র চরমপন্থা রোধে মহাসচিবের কর্ম পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট চুক্তিতে এ দেশের সমর্থন জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা কাঠামো (ইউএনডিএএফ) ২০১৭-২০২০-এ প্রতিফলিত হয়েছে, বলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক।