শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সভাপতি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত নিরাপত্তা পরিষদ আয়োজিত ‘আফ্রিকাতে শান্তি ও নিরাপত্তা: টেকসই শান্তির জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের উন্মুক্ত বিতর্কে বক্তব্যে দিয়েছেন।
উন্মুক্ত বিতর্কটিতে শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত। এসময় তিনি আফ্রিকার শান্তি বিনির্মাণ অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা জোরদার করার ক্ষেত্রে পিবিসি’র প্রসারিত সহায়তা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া টেকসই উন্নয়ন, অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায়বিচার, আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নারীদের সমান অংশগ্রহণ, যুবদের ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক শান্তি বিনির্মাণ উদ্যোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে পিবিসির অতীত এবং চলমান কর্মকাণ্ডসমূহ তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা জাতিসংঘ মহাসচিবের
আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক আর্থিক সংস্থাগুলির সাথে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি এবং আফ্রিকার জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান পিবিসি’র সভাপতি।
তিনি আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সংস্থাগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আফ্রিকায় সক্ষমতা তৈরিতে সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মূহিত।
রাষ্ট্রদূত মুহিত আফ্রিকায় শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তার ক্ষেত্রে শান্তিবির্নিমাণ তহবিলের অমূল্য অবদানের স্বীকৃতি দেন এবং শান্তি বিনির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত, অনুমানযোগ্য এবং টেকসই অর্থায়নের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আারও পড়ুন: জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম কমেছে: জাতিসংঘ
পিসবিল্ডিং কমিশন (পিবিসি) হল ৩১ সদস্যের একটি আন্তঃসরকারি উপদেষ্টা সংস্থা যা সংঘাত-আক্রান্ত দেশগুলিতে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান।