জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সরকারি কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম।
শান্তি মিশনে কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অভিমত জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, ইউএন মিশনের বিষয়টি নির্ভর করে ওই দেশের, যে দেশে যাবে এবং ইউএনের পক্ষ থেকে চাহিদা প্লেস করার বিষয়ে। আমরা এটা দেখেছি এই পর্যন্ত যে দেশের লোকজন ইউএন মিশনে বেশি কাজ করে ওই দেশে এই সুযোগ সুবিধা পান।
আমরা যাতে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পেতে পারি এ জন্য আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রথমবার জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে যাচ্ছেন বাংলাদেশি ৪ নারী বিচারক
দেশের তিনটি বিভাগে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবেও সম্মতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আলী আজম বলেন, ‘বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল করার জন্য আমরা তিনটি বিভাগ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আমরা পেয়েছি তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি এটি নির্মাণ করার জন্য, কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) আমাদের একটি অনুরোধ জানিয়েছে যেহেতু তাদের জেলা পর্যায়ে তাদের শাখা নেই। জেলা প্রশাসকরা যাতে তাদের এই কার্যক্রম মনিটর করে এজন্য একটি শাখা গঠন করার জন্য।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় বৃহত্তর প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান বাংলাদেশের
‘আমাদের জনবল বা শাখা গঠন করতে হলে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। সেটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন, কেবিনেটের মাধ্যমে এটি গঠন করতে হয়। আমাদের বর্তমান যে জনবল কাঠামো সেখানে এক্সিস্টিং অবস্থায় আছে তার মধ্য থেকে সমন্বয় করে একটি শাখা গঠন করার জন্য আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি।’
করোনা মহামারির মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব। তিনি বলেন, ‘করোনার বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সব সময় একই রকম। আপনারা জানেন এখন ওমিক্রন এসেছে। এটির সিভিয়ারিটি কম থাকলেও ছড়াচ্ছে খুব বেশি।’
এ কারণে জেলা প্রশাসকরা আগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেই ভাবে এখনও সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে সব কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেলেন বাংলাদেশের ১৪০ পুলিশ