কর্মকর্তা
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা
সাত অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারা করা হয়েছে।
এসব সচিবদের বাণিজ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।
এরমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিনকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) হয়েছেন একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন। আর পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নিয়োগ পেয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলেয়া আক্তার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. তাজুল ইসলামকে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের নিবন্ধক অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমানকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে সেতু বিভাগের নতুন সচিব করা হয়েছে।
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা
সাত অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারা করা হয়েছে।
এসব সচিবদের বাণিজ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সেতু বিভাগ এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
এরমধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিনকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) হয়েছেন একই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন। আর পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব নিয়োগ পেয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলেয়া আক্তার।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. তাজুল ইসলামকে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের কার্যালয়ের নিবন্ধক অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমানকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আব্দুর রউফকে সেতু বিভাগের নতুন সচিব করা হয়েছে।
২৫ দিন আগে
বঞ্চিতদের কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। চলতি অর্থ বছরে তাদের পাওনার অর্ধেক পরিশোধ করা হবে। বাকি টাকা পাবেন আগামী বছর।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পৃথক আদেশে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, সচিব পদে ১১৯ জন, গ্রেড-১ পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৭২ জন এবং উপসচিব পদে ৪ জনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেয়েছেন। কর্মকর্তারা এক বা একাধিক পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির তারিখ থেকে বিধি মোতাবেক প্রাপ্যতা অনুযায়ী সকল আর্থিক সুবিধা পাবেন। বর্তমান অর্থ বছরে তাদের বকেয়া পাওনার ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে। অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে পরবর্তী অর্থ বছরে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বয়স ৫৭ বা ৫৯ বছর পূর্তি পর্যন্ত সর্বশেষ পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিতে বহাল ছিলেন বলে গণ্য হবেন। অবসরোত্তর ছুটি বা অবসর প্রস্তুতি ছুটি শেষে অবসরের জন্য নির্ধারিত তারিখে সরকারি চাকরি থেকে অবসরগ্রহণ করেছেন মর্মে গণ্য হবেন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
কর্মকর্তারা বিধি মোতাবেক তাদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতা, পেনশন সমন্বয়পূর্বক আর্থিক সুবিধা পাবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ইতিপূর্বে জারিকৃত পিআরএল বা এলপিআর আদেশ বাতিল করা হয়েছে। বেতন নির্ধারণের সময় অবসর উত্তর ছুটি বা অবসর প্রস্তুতি ছুটি সমন্বয় করা হবে।
আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করে বঞ্চনা নিরসন কমিটি গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন দেয়।
৪১ দিন আগে
কর্মকর্তাদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর হবে এনবিআর: চেয়ারম্যান
দুর্নীতি ও কাজে অবহেলার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, অতীতের মতো এ ধরনের কোনো আচরণ বা কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এনবিআর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, আমাদের কর্মকর্তারা যদি তাদের আগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন তবে তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
‘অতীতের মতো কোনো ধরনের গড়িমসি বা আপোষের মনোভাব আমরা বরদাশত করব না। এমন কিছু দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ পেলে তা নিয়ে সংস্থাটির কাছে অভিযোগ জানাতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারি, তবে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে না।’
আরও পড়ুন: হয়রানি কমাতে অনলাইন কর পদ্ধতি সংস্কারের পরিকল্পনা এনবিআরের
এ সময় ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে কর অব্যাহতির প্রবণতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি প্রবণতা রয়েছে যে, ট্যাক্স-ভ্যাট অব্যাহতি ছাড়া ব্যবসা বাড়বে না। তাদের এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
ভ্যাট ও কর অব্যাহতি না থাকার পরও উন্নত দেশগুলো কীভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ করুন। তারপর যদি সেটা আপনার পক্ষে সম্ভব বলে মনে হয় তবে সেই ব্যবসায় যান, নাহলে বাদ দিন।’
ব্যবসায়িক স্বার্থে যেকোনো মূল্যে কর অব্যাহতি আদায় করতেই হবে—এমন মনোভাব পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের সুশাসন। আমরা আমাদের সব ব্যবসার জন্য বিভিন্ন খাত উন্মুক্ত করতে পারি না।’
খাতগুলো উন্মুক্ত করে এসব খাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যদি প্রতিযোগিতা বাড়ানো যায়, তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধন করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যবসা খাতেই দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন খেলোয়াড়। আমরা এখান থেকে সরে আসতে চাই। এই খেলোয়াড়রা অন্যদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এই জায়গাটি আমরা উন্মুক্ত করতে পারি।’
৫৫ দিন আগে
পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পাসপোর্ট অফিসে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। এই দুর্নাম দূর করে মানুষ যাতে সঠিক সেবা পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে নতুন যোগদান করা ২০ কর্মকর্তার ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। সুতরাং সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এছাড়া ঘুষ, দুর্নীতি ও পোস্টিংয়ের জন্য দৌড়ঝাঁপ ও তদবির থেকে বিরত থাকতে কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখনকার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তুলনামূলক মেধাবী। তাই মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এনডিসি এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৮০ দিন আগে
‘আপনাদের দেখে যেন করদাতারা ভয় না পায়’: কর কর্মকর্তাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা
করদাতারা যাতে রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় ভয় না পান, তা নিশ্চিত করতে কর কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে অর্থ আইন ২০২৪-এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘করদাতারা আপনাদের দেখলে যেন আতঙ্কিত না হন। হয়রানি থেকে বাঁচতে আয়কর কর্মকর্তাদের এড়িয়ে চলার প্রবণতা রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাদের আশ্বস্ত করুন, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
সামনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজস্ব ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজস্ব খাত ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার। রাজনৈতিক সংস্কারও করা হবে।’
কর আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির গুরুত্বের ওপরও জোর দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় চাহিদা মেটাতে যতটুকু কর আদায় করা দরকার ততটুকু কর আদায় করুন, তবে সাধারণ নাগরিকদের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি না করে কর আদায় করুন। জনগণের কথা বলার সময় তাদের আশ্বস্ত করুন এবং তাদের স্বেচ্ছায় কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা উচিত।
ড. সালেহউদ্দিন আর্থিক খাত সংস্কারে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে কর কর্মকর্তাদের জরুরি সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও স্বাবলম্বী হওয়া, যদিও এখনও অনেক পণ্য আমদানি করতে হয়।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ছয় সদস্যের একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠকে আগামী দিনগুরোর জন্য অর্থনৈতিক আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করতে পারে। আমরা এরই মধ্যে কর সংস্কারের কাজ শুরু করেছি এবং আমাদের কর্মকর্তাদের উদ্বুদ্ধ করেছি, যা কিছুটা আস্থা তৈরি করতে পারে।’
অগ্রগতির বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করাসহ আর্থিক সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অপব্যয় হ্রাস এবং জনসাধারণের তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের মনোযোগের উপর জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'অনেকে মনে করেন, সরকার শুধু অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কর আদায় করে, কিন্তু এ ধরনের ব্যয় ন্যূনতম রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’
অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক অর্থায়ন প্রয়োজনীয় বলে স্বীকার করেন ড. সালেহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে আমাদের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করব, তবে বৈদেশিক তহবিল এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক সাহায্যের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিরুদ্ধে তারা সতর্ক।
তিনি বলেন, ‘একটা কথা আছে, আপনার হাতটা যদি আমার পকেটে থাকে, আমি ডান দিকে গেলে আপনিও যাবেন, আমি বায়ে গেলে আপনিও বায়ে যাবেন। সেটা কিন্তু হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি।’
বাংলাদেশের কর কাঠামোর ভারসাম্যহীনতার কথা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন প্রত্যক্ষ করারোপের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবুও ভ্যাটের মতো পরোক্ষ করের উপর উচ্চ নির্ভরতার তুলনায় আমাদের রাজস্বে এর অংশ তুলনামূলককম, যা সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করে।’
তিনি আরও উন্নত কর ব্যবস্থার আহ্বান জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আয়কর ব্যবস্থা কিছুটা পশ্চাদমুখী, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অধীনে থাকা সংস্থাগুলো বিশেষত বোঝা মনে করছে। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায্যতা ও প্রদানের সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে করারোপ করা হয়েছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান এম আবদুর রহমান খান ড. সালেহউদ্দিনের সংস্কারের আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে সরকারি রাজস্বের কার্যকরভাবে ব্যবহার নিশ্চিতের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, 'মানুষ জানতে চায় যে তারা যে কর দেয় তা সঠিকভাবে ব্যয় করা হচ্ছে কি না। আমরা সেই পরিবর্তন দেখতে শুরু করেছি, তবে আমাদের ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি কর কর্মকর্তাদের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা এবং কর আদায়ের সময় অযৌক্তিক চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থেকে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'আমাদের আইন ও বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত, তবে আমাদের অবশ্যই করদাতা বৃদ্ধি সহজতর করতে হবে।’
বিশেষ করে অতিরিক্ত কর ব্যয়ের বিষয়টি মোকাবিলায় কর আইনের উল্লেখযোগ্য সংস্কারের আহ্বান জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। ঘাটতি পূরণে সরকারের অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো উচিত নয় উল্লেখ করেন তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় কর কাটা বন্ধ করতে হবে।’
ড. সালেহউদ্দিন ছাত্র ও জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত 'জুলাই বিপ্লব'-এর পর বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন পথ প্রণয়নের ঐতিহাসিক সুযোগের কথা তুলে ধরেন। অতীত চর্চা পেছনে ফেলে আমাদের অবশ্যই নতুন বাংলাদেশ গড়ার দিকে নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এম লুৎফুল আজিম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কর নীতি নির্ধারণী সদস্য এ কে এম বদিউল আলম এবং কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে এক দল চলে গেলে আরেক দল শূন্যস্থানে আসে: অর্থ উপদেষ্টা
১৮৯ দিন আগে
এনবিআরের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মানবসম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ দিয়েছে।
এতে বলা হয়, আয়কর বিভাগের অধীনস্থ যে কোনো অফিসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সকাল ৯টার আগে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ কাজ করবেন। কোন কর্মকর্তা একাধিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন তাহলে তিনি কোথায় আছেন তা অনুপস্থিত কার্যালয়ের দৃশ্যমান স্থানে কাগজে নোটিশ আকারে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, কর কমিশনার/মহাপরিচালকরা তাদের অধীনস্থ অফিসসমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর অফিসে উপস্থিতির বিষয়টি নথিভুক্ত করবেন এবং প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: বড় কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা জোরদার করছে এনবিআর
একই সঙ্গে সার্কেল কর্মকর্তার অধীনস্থ অফিসসমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয়টি তদারক করবেন এবং প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
কর্মস্থল ত্যাগ ও কর্মস্থলের বাহিরে অবস্থানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসরণ করতে হবে। সকল স্তরের ঊর্ধ্বতন অফিস অধস্তন অফিসের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন।
কোন কর্মকর্তা ছুটিতে থাকলে বা মিটিং বা অন্য কোনো কারণে অফিসের বাহিরে থাকলে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।
কর কমিশনাররা আইনানুগ বাধ্যবাধকতা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লিখিত নির্দেশনা ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার প্রণীত খসড়া কর আদেশ অনুমোদন দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তিনি নিয়মিতভাবে সার্কেল ও রেঞ্জ অফিস পরিদর্শন করবেন এবং সঠিকভাবে কাজ সম্পাদনের বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।
পরিদর্শী রেঞ্জ কর্মকর্তারা তার আওতায় থাকা সার্কেল অফিসগুলো প্রতি ১৫ দিন অন্তর পরিদর্শন করবেন এবং সার্কেল অফিসে নিম্নবর্ণিত রেজিস্টারসমূহ সংরক্ষণ এবং কাজের তদারকি করবেন।
আরও পড়ুন: সালমান, আকবর সোবহানসহ ৫ ব্যবসায়ীর হিসাব তলব করেছে এনবিআর
ক. স্টক রেজিষ্টার (সার্কেলের রেজিষ্টার্ড করদাতার সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকতে হবে)
খ. রিটার্ন রেজিষ্টার
গ. মাসিক কর নির্ধারণ রেজিষ্টার
ঘ. রেজিষ্টার-৫ (আদায় রেজিষ্টার )
ঙ.পুনঃউন্মোচন রেজিষ্টার
চ. জরিমানা রেজিষ্টার
ছ. আপিল/ট্রাইব্যুনাল রেজিষ্টার
জ. গ্রহণ রেজিষ্টার
ঝ. মুভমেন্ট রেজিষ্টার
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
১৯৪ দিন আগে
শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলির দাবি
শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলির দাবি জানিয়েছে ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি।’
তারা ক্যাডারে বিভিন্ন টায়ারে পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন নীতিমালা, পদ সৃজন, পদ আপগ্রেড, ছুটি ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে দাবি জানান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল হোসেন।
তিনি প্রত্যেক উপজেলায় কলেজ জাতীয়করণের নামে রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারি করা ৩০০ কলেজের জাতীয়করণ বাতিলের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কোটা ছাড়াই বিসিএসে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, শিক্ষা দপ্তর থেকে আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের অপসারণ, রাষ্ট্র সংস্কার ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবি জানানো হয়।
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যয় নিয়ে যে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি।
প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে তারা এই আন্দোলনে শাহাদতবরণকারী সকলকে জাতীয় বীরের মর্যাদা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদদের নাম, স্মৃতিফলক উন্মোচন, জাতীয় পাঠ্য পুস্তকে এই বিপ্লবী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে পাঠ্যভুক্ত করার দাবি জানান।
বিভিন্ন দপ্তরে বিগত স্বৈরাচার সরকারের রেখে যাওয়া দলদাস ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা হলেও শিক্ষা প্রশাসনের সর্বস্তরে তারা এখনও বহাল তবিয়তে। এজন্য তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে বিগত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীদের আবারও লাভজনক পদে পদায়ন শুরু হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনা বিরোধী। তাই অবিলম্বে মন্ত্রণালয়ের কলেজ উইং ও শিক্ষা প্রশাসনের সকল স্তর ঢেলে সাজাতে হবে।
পদোন্নতিযোগ্য সবাইকে সব টায়ারে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে একসঙ্গে পদোন্নতি প্রদান করা, পূর্বে তিন টায়ারে একসঙ্গেই পদোন্নতি দেওয়া হতো। কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। ১৬ ব্যাচের বিসিএসের কর্মকর্তা দীর্ঘ ২৮ বছর চাকরি করে পদোন্নতি না পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন যা খুবই কষ্টকর। আমরা ১৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ভুতাপেক্ষিকভাবে মার্চ ২০২৩ থেকে পদোন্নতির দাবি করছি।
আরও পড়ুন: দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে বিসিএস শিক্ষা সমিতির কর্মবিরতি শুরু
শূন্য পদ না থাকায় শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরকে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ক্যাডারসহ অনেক ক্যাডারে সুপারনিউমেরারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া হয়। শিক্ষা ক্যাডারেও সুপারনিউমেরারি পদে পদোন্নতি দিয়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের করতে হবে। শিক্ষা ক্যাডারে বদলি-পদায়নের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বিদ্যমান। নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা ঘুরে-ফিরে মাউশি, ডিআইএ, ব্যানবেইস, নায়েম, শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবিসহ বিভিন্ন দপ্তর এবং ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলার প্রধান কলেজগুলোতে কর্মরত আছেন।
অপরদিকে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নিরীহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রত্যন্ত অঞ্চল, হাওর-দ্বীপ, পাহাড় এবং জেলা-উপজেলার ছোট কলেজে কর্মরত আছেন। এই বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে সুষ্ঠু বদলি পদায়ন নীতিমালা জারি করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিপ্লবী সরকারের সময়ও বিগত সময়ের সুবিধাভোগীরা ভালো পদায়ন পাচ্ছেন বা পূর্বের পদায়ন ধরে রেখেছেন।
এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পঞ্চম গ্রেড থেকে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি প্রদান এবং আনুপাতিক হারে গ্রেড-২ ও গ্রেড-১ পদ সৃষ্টি করে ৬ স্তরের পদসোপান তৈরি করার দাবিও জানান তারা।
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সহসভাপতি সংগঠনের উপদেষ্টা ড. আ জ ম রুহুল কাদীর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ, অধ্যাপক মোহা. আবেদ নোমানী, অধ্যাপক কাজী ফারুক আহম্মদ, অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন, আকলিমা আক্তার, মো. এনামুল হক, মো. ইমরান আলী, মো. কামরুল হাসান, ড. সালাহ উদ্দিন আফসার, মো. গোলাম আজম।
আরও পড়ুন: সুপারিশপ্রাপ্ত পাঁচজনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ
১৯৯ দিন আগে
ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তরে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে প্রণীত আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির মহাসচিব এবং ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সই করা স্মারকলিপিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজস্ব জনবল ব্যবহার করে গত ১৭ বছর ধরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
কমিশন ২০০৭-২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় জাতীয় ভোটার ডাটাবেজ তৈরির পর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে আসছে।
যেহেতু ইসির জনবল নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়, তাই এতে বাড়তি কোনো খরচের প্রয়োজন হয় না।আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল রয়েছে।
কিন্তু বিগত সরকার সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করেছিল
ইসির কর্মকর্তারা তাদের স্মারকলিপিতে বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, সেন্ট লুসিয়া এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রানাডা দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশন সফলভাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তারা বলেন, নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তর করা হলে তা অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করবে।
সমস্যার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আইনি জটিলতা ও ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হবে, নতুন অবকাঠামো স্থাপন ও জনবল নিয়োগে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হবে এবং ডাটাবেজের সত্যতা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ডেটার জন্য নিরাপত্তা হুমকি দেখা দেবে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হলেও নিবন্ধন কার্যক্রম এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২০৭ দিন আগে
দুর্নীতি করে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি আমলে নেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজেদের বঞ্চিত দাবি করা সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হলে তা আমলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে বাংলাদেশে নির্মিত হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
তিনি বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। কিন্তু ইচ্ছা করে ভুল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যেসব কর্মকর্তা সত্যিকার অর্থেই বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’
দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হলে তা আমলে নেওয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও সবাইকে মিলেমিশে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি, জননিরাপত্তা বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সদ্য বিদায়ী সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: যুব-ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে বিসিবির অভিনন্দন
রাজপথ থেকেই ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত বিজয়: আসিফ মাহমুদ
২১৬ দিন আগে
পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দিল জনতা
হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চৌধুরীকে পিঠিয়ে হত্যা করে তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলায়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ২ এমপি ও শতাধিক আ. লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ৬ জনের লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি বানিয়াচং থানার কাছে পৌঁছালে পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে শিশুসহ তিনজন মারা যান, আহত হন শতাধিক। এমতাবস্থায় হাজার হাজার গ্রামবাসী থানায় ঘেরাও করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে আটকা পড়ে প্রায় ৩৫ জন পুলিশ সদস্য।
পরে রাতের বেলা হবিগঞ্জ থেকে সেনাবাহিনী গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এসময় জনতা এসআই সন্তোষকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সন্তোষ।
পরের দিন (মঙ্গলবার) বেলা ১২টা পর্যন্ত তার লাশ রাস্তায় পড়ে থাকে। এসময় জনতা তার ওপর লাথি ও থুথু মেরে ধিক্কার জানান। এরপর এক পর্যায়ে তার লাশ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জনতা গাছে ঝুলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: পালানোর সময় সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আটক
সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল
২২৮ দিন আগে