কর্মকর্তা
পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পাসপোর্ট অফিসে মানুষ হয়রানির শিকার হয়। এই দুর্নাম দূর করে মানুষ যাতে সঠিক সেবা পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে জনবান্ধব ফোর্সে রূপান্তরের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পদে নতুন যোগদান করা ২০ কর্মকর্তার ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। সুতরাং সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল ভোগ করবে জনগণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এছাড়া ঘুষ, দুর্নীতি ও পোস্টিংয়ের জন্য দৌড়ঝাঁপ ও তদবির থেকে বিরত থাকতে কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখনকার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তুলনামূলক মেধাবী। তাই মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এনডিসি এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
‘আপনাদের দেখে যেন করদাতারা ভয় না পায়’: কর কর্মকর্তাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা
করদাতারা যাতে রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে আলোচনায় ভয় না পান, তা নিশ্চিত করতে কর কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে অর্থ আইন ২০২৪-এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘করদাতারা আপনাদের দেখলে যেন আতঙ্কিত না হন। হয়রানি থেকে বাঁচতে আয়কর কর্মকর্তাদের এড়িয়ে চলার প্রবণতা রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাদের আশ্বস্ত করুন, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
সামনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজস্ব ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি: অর্থ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজস্ব খাত ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার। রাজনৈতিক সংস্কারও করা হবে।’
কর আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির গুরুত্বের ওপরও জোর দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় চাহিদা মেটাতে যতটুকু কর আদায় করা দরকার ততটুকু কর আদায় করুন, তবে সাধারণ নাগরিকদের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টি না করে কর আদায় করুন। জনগণের কথা বলার সময় তাদের আশ্বস্ত করুন এবং তাদের স্বেচ্ছায় কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা উচিত।
ড. সালেহউদ্দিন আর্থিক খাত সংস্কারে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে কর কর্মকর্তাদের জরুরি সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের লক্ষ্য আরও স্বাবলম্বী হওয়া, যদিও এখনও অনেক পণ্য আমদানি করতে হয়।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ছয় সদস্যের একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠকে আগামী দিনগুরোর জন্য অর্থনৈতিক আলোচনাকে অগ্রাধিকার দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করতে পারে। আমরা এরই মধ্যে কর সংস্কারের কাজ শুরু করেছি এবং আমাদের কর্মকর্তাদের উদ্বুদ্ধ করেছি, যা কিছুটা আস্থা তৈরি করতে পারে।’
অগ্রগতির বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কার শুরু করাসহ আর্থিক সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অপব্যয় হ্রাস এবং জনসাধারণের তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের মনোযোগের উপর জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'অনেকে মনে করেন, সরকার শুধু অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কর আদায় করে, কিন্তু এ ধরনের ব্যয় ন্যূনতম রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’
অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য বৈদেশিক অর্থায়ন প্রয়োজনীয় বলে স্বীকার করেন ড. সালেহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে আমাদের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করব, তবে বৈদেশিক তহবিল এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, বৈদেশিক সাহায্যের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিরুদ্ধে তারা সতর্ক।
তিনি বলেন, ‘একটা কথা আছে, আপনার হাতটা যদি আমার পকেটে থাকে, আমি ডান দিকে গেলে আপনিও যাবেন, আমি বায়ে গেলে আপনিও বায়ে যাবেন। সেটা কিন্তু হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি।’
বাংলাদেশের কর কাঠামোর ভারসাম্যহীনতার কথা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন প্রত্যক্ষ করারোপের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবুও ভ্যাটের মতো পরোক্ষ করের উপর উচ্চ নির্ভরতার তুলনায় আমাদের রাজস্বে এর অংশ তুলনামূলককম, যা সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করে।’
তিনি আরও উন্নত কর ব্যবস্থার আহ্বান জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আয়কর ব্যবস্থা কিছুটা পশ্চাদমুখী, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অধীনে থাকা সংস্থাগুলো বিশেষত বোঝা মনে করছে। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায্যতা ও প্রদানের সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে করারোপ করা হয়েছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান এম আবদুর রহমান খান ড. সালেহউদ্দিনের সংস্কারের আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে সরকারি রাজস্বের কার্যকরভাবে ব্যবহার নিশ্চিতের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, 'মানুষ জানতে চায় যে তারা যে কর দেয় তা সঠিকভাবে ব্যয় করা হচ্ছে কি না। আমরা সেই পরিবর্তন দেখতে শুরু করেছি, তবে আমাদের ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি কর কর্মকর্তাদের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা এবং কর আদায়ের সময় অযৌক্তিক চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থেকে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'আমাদের আইন ও বিধিবিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত, তবে আমাদের অবশ্যই করদাতা বৃদ্ধি সহজতর করতে হবে।’
বিশেষ করে অতিরিক্ত কর ব্যয়ের বিষয়টি মোকাবিলায় কর আইনের উল্লেখযোগ্য সংস্কারের আহ্বান জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। ঘাটতি পূরণে সরকারের অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো উচিত নয় উল্লেখ করেন তিনি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় কর কাটা বন্ধ করতে হবে।’
ড. সালেহউদ্দিন ছাত্র ও জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত 'জুলাই বিপ্লব'-এর পর বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন পথ প্রণয়নের ঐতিহাসিক সুযোগের কথা তুলে ধরেন। অতীত চর্চা পেছনে ফেলে আমাদের অবশ্যই নতুন বাংলাদেশ গড়ার দিকে নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এম লুৎফুল আজিম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কর নীতি নির্ধারণী সদস্য এ কে এম বদিউল আলম এবং কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে এক দল চলে গেলে আরেক দল শূন্যস্থানে আসে: অর্থ উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
এনবিআরের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মানবসম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ দিয়েছে।
এতে বলা হয়, আয়কর বিভাগের অধীনস্থ যে কোনো অফিসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সকাল ৯টার আগে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ কাজ করবেন। কোন কর্মকর্তা একাধিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন তাহলে তিনি কোথায় আছেন তা অনুপস্থিত কার্যালয়ের দৃশ্যমান স্থানে কাগজে নোটিশ আকারে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, কর কমিশনার/মহাপরিচালকরা তাদের অধীনস্থ অফিসসমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীর অফিসে উপস্থিতির বিষয়টি নথিভুক্ত করবেন এবং প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: বড় কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা জোরদার করছে এনবিআর
একই সঙ্গে সার্কেল কর্মকর্তার অধীনস্থ অফিসসমূহে কর্মরত সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয়টি তদারক করবেন এবং প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
কর্মস্থল ত্যাগ ও কর্মস্থলের বাহিরে অবস্থানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসরণ করতে হবে। সকল স্তরের ঊর্ধ্বতন অফিস অধস্তন অফিসের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ নিশ্চিত করবেন।
কোন কর্মকর্তা ছুটিতে থাকলে বা মিটিং বা অন্য কোনো কারণে অফিসের বাহিরে থাকলে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।
কর কমিশনাররা আইনানুগ বাধ্যবাধকতা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লিখিত নির্দেশনা ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার প্রণীত খসড়া কর আদেশ অনুমোদন দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তিনি নিয়মিতভাবে সার্কেল ও রেঞ্জ অফিস পরিদর্শন করবেন এবং সঠিকভাবে কাজ সম্পাদনের বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।
পরিদর্শী রেঞ্জ কর্মকর্তারা তার আওতায় থাকা সার্কেল অফিসগুলো প্রতি ১৫ দিন অন্তর পরিদর্শন করবেন এবং সার্কেল অফিসে নিম্নবর্ণিত রেজিস্টারসমূহ সংরক্ষণ এবং কাজের তদারকি করবেন।
আরও পড়ুন: সালমান, আকবর সোবহানসহ ৫ ব্যবসায়ীর হিসাব তলব করেছে এনবিআর
ক. স্টক রেজিষ্টার (সার্কেলের রেজিষ্টার্ড করদাতার সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকতে হবে)
খ. রিটার্ন রেজিষ্টার
গ. মাসিক কর নির্ধারণ রেজিষ্টার
ঘ. রেজিষ্টার-৫ (আদায় রেজিষ্টার )
ঙ.পুনঃউন্মোচন রেজিষ্টার
চ. জরিমানা রেজিষ্টার
ছ. আপিল/ট্রাইব্যুনাল রেজিষ্টার
জ. গ্রহণ রেজিষ্টার
ঝ. মুভমেন্ট রেজিষ্টার
আরও পড়ুন: এনবিআর পরিদর্শনে গিয়ে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরলেন অর্থ উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলির দাবি
শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের দ্রুত বদলির দাবি জানিয়েছে ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি।’
তারা ক্যাডারে বিভিন্ন টায়ারে পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন নীতিমালা, পদ সৃজন, পদ আপগ্রেড, ছুটি ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনে দাবি জানান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল হোসেন।
তিনি প্রত্যেক উপজেলায় কলেজ জাতীয়করণের নামে রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারি করা ৩০০ কলেজের জাতীয়করণ বাতিলের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কোটা ছাড়াই বিসিএসে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, শিক্ষা দপ্তর থেকে আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের অপসারণ, রাষ্ট্র সংস্কার ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের দাবি জানানো হয়।
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যয় নিয়ে যে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানান বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটি।
প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে তারা এই আন্দোলনে শাহাদতবরণকারী সকলকে জাতীয় বীরের মর্যাদা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদদের নাম, স্মৃতিফলক উন্মোচন, জাতীয় পাঠ্য পুস্তকে এই বিপ্লবী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে পাঠ্যভুক্ত করার দাবি জানান।
বিভিন্ন দপ্তরে বিগত স্বৈরাচার সরকারের রেখে যাওয়া দলদাস ও দুর্নীতিবাজদের অপসারণ করা হলেও শিক্ষা প্রশাসনের সর্বস্তরে তারা এখনও বহাল তবিয়তে। এজন্য তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে বিগত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীদের আবারও লাভজনক পদে পদায়ন শুরু হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনা বিরোধী। তাই অবিলম্বে মন্ত্রণালয়ের কলেজ উইং ও শিক্ষা প্রশাসনের সকল স্তর ঢেলে সাজাতে হবে।
পদোন্নতিযোগ্য সবাইকে সব টায়ারে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে একসঙ্গে পদোন্নতি প্রদান করা, পূর্বে তিন টায়ারে একসঙ্গেই পদোন্নতি দেওয়া হতো। কোনো কারণ ছাড়াই দীর্ঘদিন পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। ১৬ ব্যাচের বিসিএসের কর্মকর্তা দীর্ঘ ২৮ বছর চাকরি করে পদোন্নতি না পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন যা খুবই কষ্টকর। আমরা ১৬ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ভুতাপেক্ষিকভাবে মার্চ ২০২৩ থেকে পদোন্নতির দাবি করছি।
আরও পড়ুন: দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে বিসিএস শিক্ষা সমিতির কর্মবিরতি শুরু
শূন্য পদ না থাকায় শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরকে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন ক্যাডারসহ অনেক ক্যাডারে সুপারনিউমেরারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া হয়। শিক্ষা ক্যাডারেও সুপারনিউমেরারি পদে পদোন্নতি দিয়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের করতে হবে। শিক্ষা ক্যাডারে বদলি-পদায়নের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য বিদ্যমান। নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা ঘুরে-ফিরে মাউশি, ডিআইএ, ব্যানবেইস, নায়েম, শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবিসহ বিভিন্ন দপ্তর এবং ঢাকাসহ বিভাগীয় ও জেলার প্রধান কলেজগুলোতে কর্মরত আছেন।
অপরদিকে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নিরীহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা প্রত্যন্ত অঞ্চল, হাওর-দ্বীপ, পাহাড় এবং জেলা-উপজেলার ছোট কলেজে কর্মরত আছেন। এই বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে সুষ্ঠু বদলি পদায়ন নীতিমালা জারি করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিপ্লবী সরকারের সময়ও বিগত সময়ের সুবিধাভোগীরা ভালো পদায়ন পাচ্ছেন বা পূর্বের পদায়ন ধরে রেখেছেন।
এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পঞ্চম গ্রেড থেকে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি প্রদান এবং আনুপাতিক হারে গ্রেড-২ ও গ্রেড-১ পদ সৃষ্টি করে ৬ স্তরের পদসোপান তৈরি করার দাবিও জানান তারা।
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সহসভাপতি সংগঠনের উপদেষ্টা ড. আ জ ম রুহুল কাদীর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি এস এম কামাল আহমেদ, অধ্যাপক মোহা. আবেদ নোমানী, অধ্যাপক কাজী ফারুক আহম্মদ, অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিন, আকলিমা আক্তার, মো. এনামুল হক, মো. ইমরান আলী, মো. কামরুল হাসান, ড. সালাহ উদ্দিন আফসার, মো. গোলাম আজম।
আরও পড়ুন: সুপারিশপ্রাপ্ত পাঁচজনকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ
৩ মাস আগে
ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তরে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে প্রণীত আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির মহাসচিব এবং ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের সই করা স্মারকলিপিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজস্ব জনবল ব্যবহার করে গত ১৭ বছর ধরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
কমিশন ২০০৭-২০০৮ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় জাতীয় ভোটার ডাটাবেজ তৈরির পর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ অনুযায়ী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করে আসছে।
যেহেতু ইসির জনবল নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়, তাই এতে বাড়তি কোনো খরচের প্রয়োজন হয় না।আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল রয়েছে।
কিন্তু বিগত সরকার সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করেছিল
ইসির কর্মকর্তারা তাদের স্মারকলিপিতে বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, সেন্ট লুসিয়া এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রানাডা দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন কমিশন সফলভাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তারা বলেন, নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানান্তর করা হলে তা অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করবে।
সমস্যার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আইনি জটিলতা ও ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, নাগরিকদের তথ্যের গোপনীয়তার সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হবে, নতুন অবকাঠামো স্থাপন ও জনবল নিয়োগে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হবে এবং ডাটাবেজের সত্যতা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ডেটার জন্য নিরাপত্তা হুমকি দেখা দেবে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হলেও নিবন্ধন কার্যক্রম এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
৩ মাস আগে
দুর্নীতি করে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি আমলে নেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিজেদের বঞ্চিত দাবি করা সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হলে তা আমলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (১৮ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে বাংলাদেশে নির্মিত হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
তিনি বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুল হতে পারে। কিন্তু ইচ্ছা করে ভুল করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যেসব কর্মকর্তা সত্যিকার অর্থেই বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’
দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হলে তা আমলে নেওয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের আইন মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও সবাইকে মিলেমিশে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি, জননিরাপত্তা বিভাগের নবনিযুক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সদ্য বিদায়ী সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম এনডিসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: যুব-ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে বিসিবির অভিনন্দন
রাজপথ থেকেই ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত বিজয়: আসিফ মাহমুদ
৪ মাস আগে
পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দিল জনতা
হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চৌধুরীকে পিঠিয়ে হত্যা করে তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলায়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ২ এমপি ও শতাধিক আ. লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ৬ জনের লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি বানিয়াচং থানার কাছে পৌঁছালে পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে শিশুসহ তিনজন মারা যান, আহত হন শতাধিক। এমতাবস্থায় হাজার হাজার গ্রামবাসী থানায় ঘেরাও করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে আটকা পড়ে প্রায় ৩৫ জন পুলিশ সদস্য।
পরে রাতের বেলা হবিগঞ্জ থেকে সেনাবাহিনী গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এসময় জনতা এসআই সন্তোষকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সন্তোষ।
পরের দিন (মঙ্গলবার) বেলা ১২টা পর্যন্ত তার লাশ রাস্তায় পড়ে থাকে। এসময় জনতা তার ওপর লাথি ও থুথু মেরে ধিক্কার জানান। এরপর এক পর্যায়ে তার লাশ রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে জনতা গাছে ঝুলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: পালানোর সময় সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আটক
সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল
৪ মাস আগে
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব চেয়েছেন হাইকোর্ট
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ সংক্রান্ত বিধিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুবির নন্দী দাস। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের আইনজীবী ফজলুল হক।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
রুলে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা- ১৯৭৯ এর ১৩ বিধি অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ করতে কেন নির্দশ দেওয়া হবে না এবং অবৈধ সম্পদ অর্জন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে একটি গাইডলাইন তৈরির কেন নিদের্দশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী সুবির নন্দী দাস আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ আদেশের আগে শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতি উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্তরায়; তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতে হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।
প্রতি বছর সরকারি চাকরিজীবীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আরও বলেন, দুর্নীতি বন্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে হারে দুর্নীতির খবর দেখা যাচ্ছে, তা বিস্ময়কর।
আদালত বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়, সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।
এর আগে, সোমবার দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চান হাইকোর্ট
সানভীস বাই তনি শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৫ মাস আগে
কানেকটিভিটি উচ্চতর পর্যায়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি: কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ও ভারত যোগাযোগ বাড়াতে এবং এটিকে বিভিন্ন উপায়ে ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চতর স্তরে নিতে তারা একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, দুই দেশ যাতে তাদের বাণিজ্য সংযোগ, দুদেশের জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং আরও কিছু প্রকল্প একসঙ্গে জোরদার করতে পারে। একই সঙ্গে সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার(২৮ জুন) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা দুই দেশ উচ্চতর পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করছি।’
রেল যোগাযোগ সম্পর্কে একজন সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন কোনো ধরনের ফি বা কিছু আর্থিক সুবিধা থাকবে কি না এবং ট্রেনগুলো যখন সেই অঞ্চলগুলো দিয়ে যাবে, তখন কোনো আধাসামরিক বা সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না।
জবাবে ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, 'ফি, নিরাপত্তার দিক নিয়ে আপনার প্রশ্নগুলো খুবই টেকনিক্যাল প্রশ্ন। টেকনিক্যাল কমিটি ও দুই সরকারের মধ্যে আলোচনার জন্য যখনই এগুলো আসবে, তখনই এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
গত ২১ ও ২২ জুন নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেলওয়ে যোগাযোগের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
রেলের সমঝোতা স্মারকটি দু’দেশের মধ্যে রেলপথ সংযোগের বিষয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের মতবিনিময়
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভৌগোলিক সম্পর্ককে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরিত করতে পারে। শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যও এটি হতে পারে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে একটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস চালু করা হচ্ছে এবং আগামী মাসের মধ্যে গেদে-দর্শনা থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি আন্তঃসীমান্ত ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি মালবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলক চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'এটি ভুটানের সঙ্গে উপআঞ্চলিক যোগাযোগেও সহায়তা করবে’
কোয়াত্রা বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ছয়টি আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ রয়েছে। তবে গুরুত্ব না থাকলেও আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, এই রেল যোগাযোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ট্রানজিট দেয়। সেই বিষয়টিকেই কেন্দ্র করে আজকের আলোচনা হয়েছে।
কোয়াত্রা বলেন, ‘সুতরাং এটি কার্যকরভাবে একটি সংযোগের দৃষ্টান্ত, যা প্রকৃতপক্ষে উভয় দেশ, সমাজ, অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করে।’
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তির আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৫ মাস আগে
চট্টগ্রামে এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মমতাজ বেগম ও মুজিবুর রহমান নামে এক দম্পতিকে আটক করেছে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯৬০ ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, আটক ২ নারী
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে সীতাকুণ্ডের প্রেমতলা কলেজ রোড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব জানায়, ইয়াবাসহ গোয়েন্দার সংস্থার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করায় এক দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, এসএসসি পাসের পর থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করে আসছিল মনজুর আলম। ২০২১ সালে ভাগনির বিয়েতে মমতাজ বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এসময় ভুক্তভোগী জানতে পারেন মমতাজ বেগম এনএসআই চট্টগ্রামের উপপরিচালক। মমতাজ ভুক্তভোগী মনজুরকে এনএসআইয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ৩৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ডের প্রেমতলা কলেজ রোড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে র্যাবের অভিযানে ‘এ্যাম্পল’ জব্দ, আটক ২
সাতক্ষীরায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আটক ১৩
৬ মাস আগে