বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্য বলেন, 'নিয়ম অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে হয়। এজন্য সরকারের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ মার্চ থেকে অনুষ্ঠিতব্য ১ম থেকে ৩য় বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত এবং চলমান অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'ইতিমধ্যে যে সব পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এসব পরীক্ষার খাতা দ্রুত মূল্যায়ন করে রেজাল্টের জন্য প্রস্তুত করা হবে। ক্যাম্পাস খোলামাত্রই রেজাল্ট দেয়া হবে।'
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ থেকে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো বন্ধ ছিল শাবিপ্রবির স্বশরীরে পাঠদান কার্যক্রম। তবে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
আরও পড়ুন: তিন দশক পার করল শাবিপ্রবি
গলায় ফাঁস দিয়ে শাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
উন্নত জাত উদ্ভাবন গবেষণায় গতি আনতে শাবিতে ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস নির্মাণ
এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে গত ১৭ ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বশরীরে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হয় অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা এবং একইসাথে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৩তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় প্রত্যেক বিভাগের ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের অসমাপ্ত সেমিস্টারের পরীক্ষাসমূহ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ২৪ মে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে এবং তার আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি-ক্লাস চালুর আগ পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকলেও কোনো ধরনের পরীক্ষা নেয়া যাবে না। শ্রেণি-ক্লাস খোলার পর পরীক্ষা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ শেষ করতে হবে। ক্যাম্পাস ও হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে শাবির অধিকাংশ বিভাগের স্নাতক (শেষ বর্ষ) ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের অধিকাংশ বিভাগে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়।