নিহত তৌহিদুল আলম প্রত্যয় মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার এসএম জাহিদুল আলমের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: কীভাবে ‘আত্মহত্যা’ করতে হয়, দেখাতে গিয়ে ফাঁস লেগে যুবকের মৃত্যু
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নতুনবাজার এলাকার স্বপ্নীল সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলার একটি মেসে জানালার গ্রিলের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রত্যয়ের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টায় প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে জালালাবাদ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বনভোজনে যেতে বাধা দেয়ায় আত্মহত্যা
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, ‘বিষয়টিতে আমরা সকলে মর্মাহত। পুলিশ আমাদের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল মর্গে নিয়ে গেছে। আমরা তার পরিবারকে খবর দিয়েছি।’
এর আগে, গত বছরের ১ অক্টোবর শাবির এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: সাভারে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
মৃত আছিয়া আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের মথুরা গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির নিজ এলাকায় একজনের সাথে সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের জের ধরে ফজরের নামাজের আগে ঘরের বারান্দায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চাকরি চলে যাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা, ৯৯৯ ফোনকলে উদ্ধার
তার আগে, ৬ আগস্ট আরেক মেয়ে শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত তোরাবি বিনতে হক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নেত্রকোনার চল্লিশা ইউনিয়নের মোগরাটিয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: ঘুমের ওষুধ খেয়ে ৯৯৯ নম্বরে যুবকের ফোন, হাসপাতালে নিল পুলিশ
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ পৌরসভার কাটলি এলাকায় গিয়ে কক্ষের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।