মঙ্গলবার রাতে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বুধবার জাবির সিন্ডিকেট সচিব ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রমিনা কানিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সানওয়ার সিরাজ বলেছেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পাইনি। এটা পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত। আমি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিয়েছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেগুলো গ্রহণ করেনি।’
গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী সানওয়ার সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের অভিযোগে জাবিতে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
করোনা আক্রান্ত জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে শুরু, আবেদন শুরু ৮ মার্চ
পরে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করার চেষ্টা করায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর, প্রীতিলতা হলের আবাসিক ওই শিক্ষার্থী তার হলরুমে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এরপর যৌন হয়রানির বিষয়টি আলোচনায় আসে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সানওয়ার সিরাজের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করে।
ভুক্তভোগীর আত্মহত্যার চেষ্টার পরে ২৫ সেপ্টেম্বর বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা লিখিত অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলে' পাঠান।
সেলটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্তকে অপসারণের জন্য সুপারিশ করে।
পরে ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগের ভিত্তিতে সানওয়ার সিরাজকে সকল ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবির হল ১৩ মার্চের মধ্যে খোলার পরামর্শ
গবেষণায় নকল করার দায়ে ঢাবির ৩ শিক্ষকের পদাবনতি
ঢাবির পিএইচডি থিসিস কীভাবে সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন হয়, জানতে চায় হাইকোর্ট