ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় ৯ জানুয়ারি এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে ২৬ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের এক অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবির উন্নয়ন প্রকল্প দেখভালে অনভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি
বহিষ্কৃতরা তৃতীয় বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তারা হলেন মার্কেটিং বিভাগের মো. শিহাব ও মোহাম্মদ মশিউর রহমান, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের তামীম হোসেন ও রিজওয়ান রাশেদ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ছালাউদ্দিন ইউসুফ ও রোজেন নূর, বাংলা বিভাগের শিমুল আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের সাকিল মাহমুদ, চারুকলা বিভাগের আকাশ হোসেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফয়জুল ইসলাম নিরব এবং ইতিহাস বিভাগের সারোয়ার হোসেন শাকিল। তারা সবাই বঙ্গবন্ধু হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: জাবির ক্ষুদ্র দোকানিদের মাঝে মুশফিকের খাদ্য সহায়তা
এদের মধ্যে শিহাবকে দুই বছরের জন্য এবং বাকি ১০ জনকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সময়ে তারা হলে কিংবা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই বঙ্গবন্ধু হলে র্যাগিং সংক্রান্ত ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ অনুযায়ী বিশেষ সিন্ডিকেট সভার দিন হতে বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।
এছাড়া, শাস্তি পাওয়াদের বহিষ্কারাদেশ শেষ হলে বঙ্গবন্ধ হল ত্যাগ করে বরাদ্দকৃত হলে উঠার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার বন্ধে জাবির আবাসিক হলে ছাগল পালন
সূত্র জানায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্তরা র্যাগিং দেয়ার জন্য প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গণররুমে প্রবেশ করে। র্যাগিং দেয়ার এক পর্যায়ে রাত দেড়টার দিকে প্রথম বর্ষের ফয়সাল আলমকে ডান গালে পরপর দুটি থাপ্পড় দেন শিহাব।
এ ঘটনায় ফয়সাল খিঁচুনি দিয়ে পড়ে যান এবং তার কান দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ফয়সাল বাকরুদ্ধ হয়ে গেলে তার বন্ধুরা এবং দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন মিলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জাবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্চনার অভিযোগ
প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হলে র্যাগিংয়ের জন্য কয়েকজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরেকটা বড় কারণ হলো তারা কেউই বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী না, তারা সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন, তাই এ বহিষ্কারাদেশ। নিজের হলে না থেকে অন্য হলে থেকে আবার র্যাগিং করার জন্যই এ শাস্তি।’