জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাবি ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
ছাত্রদের পিটুনিতে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা মারা গেছেন।
বুধবার রাতে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমুজ্জামান সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। আমরা পরীক্ষা করে দেখি তিনি মৃত। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের উসকানিদাতা ছাত্রলীগ নেতা নেত্রকোণা থেকে গ্রেপ্তার
শামীমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শামীম মোল্লাকে মারধর করেন একদল শিক্ষার্থী। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকায় থাকতেন শামীম মোল্লা। গত ১৫ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রলীগ ও বহিরাগতরা ওই হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে দুই বছর আগে মারা যাওয়া ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা গেটের কাছে একটি দোকান থেকে শামীম মোল্লাকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে মারধর শুরু করে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এক পর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল টিমের তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল নিরাপত্তা কার্যালয়ে আসে। এদিকে গত ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার বিষয়ে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে আগের দায়ের করা মামলায় তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
২ মাস আগে
জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের পদত্যাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম পদত্যাগ করেছেন।
আরও পড়ুন: গান গেয়ে জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
বুধবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (রুটিন দ্বায়িত্ব) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
৪ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ
নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (৬ জুন) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পৃথক পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপাচার্যরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম ও বিভিন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞান অর্জনের উন্মুক্ত ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, একাডেমিক প্রোগ্রাম এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা সমসাময়িক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করতে পারে।
জ্ঞান অর্জন ও এর প্রসারে গবেষণার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গবেষণায় পরিমাণের চেয়ে গুণগত মানকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং গবেষণার সুফল অর্জনে জোর দিতে হবে।’
পাশাপাশি একাডেমিক কার্যক্রম আয়োজনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা পরিকল্পনার একটি কপি দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী উল্লেখ করে উপাচার্য আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় রাবি সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে আরও ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৬ মাস আগে
জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে ৩ ফেব্রুয়ারি স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও মো. মুরাদ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ জেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে যথাক্রমে মামুন ও মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যরা হলেন- মোস্তফা মনোয়ার ওরফে সাগর সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাব্বির হোসেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জাবি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানান, কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
১০ মাস আগে
জাবি’র হল থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত আরাফাত সিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের (৪৫তম ব্যাচ) এবং মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
তিনি হলটির বি ব্লকের ১১৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি নীলফামারী জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাগরিবের নামাজের পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার সহপাঠীরা তার কক্ষে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেন। কোনো সাড়া না পেয়ে তারা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে ভেতরে কিছু ঝুলতে দেখেন। পরে তারা দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে জাবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদগুরুর লেখা 'ডেথ: অ্যান ইনসাইড স্টোরি' শিরোনামের একটি বই তার পড়ার টেবিলে পাওয়া গেছে।
এর আগে, তিনি ৩ এপ্রিল তার ফেসবুকে আধ্যাত্মিক অনুশীলন, মৃত্যু, আত্মা, দেহ, জীবনের উদ্দেশ্য, ধ্যান ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছিলেন।
হল প্রভোস্ট ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাকে তার কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ এস এম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে তার পরিবারের একজন সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নারী এনজিও কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ঋণ খেলাপির জন্য সাধারণ মানুষ নয়, বড় ব্যবসায়ীরা দায়ী: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের এক শতাংশের জন্যও সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। বরং বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা স্বেচ্ছায় ফেরত না দেয়ার অভিপ্রায়েই ঋণ নিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘তারা ঋণ নেয় (ইচ্ছা করে) পরিশোধ না করার জন্য। অবশ্য এর সঙ্গে কিছু ব্যাংকারও জড়িত।’
শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে দেশের ব্যাংক ও অন্যান্য ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ রয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৬ লাখ কোটি টাকা।
শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে হামিদ বলেন, কেউ হবে রাজনীতিবিদ, কেউ হবে ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি, কেউ হবে আমলা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মনে রাখবেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। তা করতে ব্যর্থ হলে দেশ ও জাতির জন্য চরম বিপদ ডেকে আনে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
সার্কভুক্ত একটি দেশের অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থার সংবাদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনার জন্য আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের অশুভ সম্পর্ক যেকোনো দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।’ তবে তিনি কোনও দেশের নাম বলেননি।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এসব শিক্ষার মূল ক্ষেত্র।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আজকের রাজনীতিতে ক্ষমতা এবং অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণকারী শক্তির ভূমিকা পালন করে। ছাত্র রাজনীতিতে এসব অশুভ ছায়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অধিগ্রহণ ও চাঁদাবাজির কারণে ছাত্র রাজনীতিকে এখন আগের মতো সম্মানের পরিবর্তে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো নয়।’
ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে হামিদ বলেন, তারা নৈতিকতা বাদ দিয়ে ব্যবসা শুরু করে কীভাবে রাতারাতি ধনী হওয়া যায় তা চিন্তা করেন।
হামিদ বলেন, একই কথা সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। চাকরি করার পর কীভাবে দ্রুত গাড়ি ও বাড়ির মালিক হবেন তা নিয়েই তারা চিন্তিত।
তিনি বলেন, ‘তারা ভুলে যায় যে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং জনগণের সেবক। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা মাঝে মাঝে দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে দ্বিধা করে না।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে দুর্নীতি অন্যতম বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষকদেরও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মুক্ত রাখতে হবে।
হামিদ বলেন, কিছু উপাচার্য ও শিক্ষক আইনের অপব্যবহার করে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করুন: এনডিসি স্নাতকদের রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে, আইনের অপব্যবহার করে এমন একটি বিভাগ তাদের সুযোগ-সুবিধা পেতে খুব ব্যস্ত। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রদের ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না।’
তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না এবং শিক্ষার্থীরা একাডেমিক সব কার্যক্রম ঠিক রেখে রাজনীতি, সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে আপস করে অ-একাডেমিক কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দেয়া হচ্ছে। যে কারণে বিশ্বের প্রথম এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম থেকে ৪৭তম ব্যাচের ৩১ হাজার ৭১৬ জন যোগ্য স্নাতকের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ২১৯জন অনার্স, মাস্টার্স, এম ফিল, পিএইচডি, এমবিএ ডিগ্রি এবং উইকএন্ড কোর্সের অধীনে নিবন্ধন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে ১৫ জন স্নাতককে আসাদুল কবির স্বর্ণপদক এবং শরাফুদ্দিন স্বর্ণপদক দেয়া হয় তাদের অসাধারণ একাডেমিক ফলাফলের জন্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালে, দ্বিতীয়টি ২০০১ সালে, তৃতীয়টি ২০০৬ সালে, চতুর্থটি ২০১০ সালে এবং পঞ্চম সমাবর্তন ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
১ বছর আগে
আলাউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার তার সাবেক উপদেষ্টা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, শিক্ষা ও রাজনীতিতে তার অবদান দেশের মানুষ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
অনিতা চৌধুরী’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
জাবির সাবেক ভিসি আলাউদ্দিন আহমেদ আর নেই
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য আলাউদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি ১৯৯৮ সালের ১৮ জুলাই থেকে ১৯৯৯ সালের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাবিতে ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ছিলেন।
এছাড়াও তিনি কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আলাউদ্দিন ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১৯৪৭ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী আলাউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ১৯৭১ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ১৯৭৩-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আলাউদ্দিন আহমেদ ১৯৭৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাবি’র ভিসি ড. মোহাম্মদ নুরুল আলম।
পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক মন্ত্রী গোলাম মোস্তফা আর নেই
২ বছর আগে
‘আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী’
বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে হলের ছাদ থেকে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী অমিত কুমার বিশ্বাসের মৃত্যুর পরে রুম থেকে একটি চিঠি পাওয়া যায়। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে তার রুমে বালিশের নিচ থেকে ওই সুইসাইড নোট উদ্ধার করেন তার রুমমেটরা।
সুইসাইড নোটের লিখা থেকে ধারণা করা হয় অমিত কুমার আত্মহত্যা করেছে।
সুইসাইড নোটে লিখা ছিল,‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা, বাবা, ছোটবোন সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান জানিয়েছেন, সুইসাইড নোটের হাতের লিখার সঙ্গে অমিত বিশ্বাসের হাতের লিখার মিল আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘তার খাতার লিখার সঙ্গে সুইসাইড নোটের হাতের লিখার মিল রয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ কেস হয়েছে, তাদের তদন্তের পরেই বলা যাবে এই লিখা তার কিনা।’
আরও পড়ুন: হলের ছাদ থেকে পড়ে জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, ‘তার রুমের পড়ার টেবিলে সুইসাইড বিষয়ক লেখা কিছু মন্তব্য দেখা গেছে। পুলিশের পরিদর্শনের পর আমরা রুমটি বন্ধ করে দিয়েছি।’
নিহত অমিত কুমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ ব্যাচের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি খুলনায়।
জানা যায়, বটতলায় রুমমেটদের সঙ্গে দুপুরের খাবারের পর তাদের রেখে একাই হলে চলে আসেন অমিত। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে পাঁচতলা হলের ছাদ থেকে ভারী কিছু নিচে পড়ার শব্দ শুনে বাইরে আসেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। বাইরে এসে অমিতকে মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। এসময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হলে বিকাল সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসক ড. ইফরান।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তার দুটি মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও সুইসাইড নোটের হাতের লিখা মিলানোর জন্য দুটি খাতা আলামত হিসাবে সংগ্রহ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে
জাবির সাময়িক উপাচার্য হলেন অধ্যাপক নুরুল আলম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মো. নুরুল আলমকে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি এর আগে জাবির উপ উপাচার্য ছিলেন।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাসুম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ এই নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অধ্যাপক মো. নুরুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপকও।
এর আগে গত ১ মার্চ অধ্যাপক নুরুল আলমকে উপ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
উপাচার্য পদে অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের মেয়াদ শেষ হয় গত ২ মার্চ।
২ বছর আগে