বুধবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা এ দাবি জানান।
এছাড়া একই দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সারাদেশে অনলাইন প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মেস ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল মালিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে মহামারিকালীন বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
‘সরকারের ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন সারাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে গিলে খেয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি, লুটপাট এবং অব্যবস্থাপনা সর্বত্র বিরাজমান। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। স্বল্প আয়ের মানুষেরা কাজের অভাবে, খাদ্যাভাবে এবং পুষ্টিহীনতায় দিনাতিপাত করছেন। শ্রমিকরা ছাঁটাইয়ের শিকার। পাটকল শ্রমিকদের জীবন-জীবিকাও হুমকির মুখে।’
‘যারা মানুষের বাক-স্বাধীনতা, স্বাধীন মতপ্রকাশ ও সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুঃশাসনের গঠনমূলক সমালোচনা করছেন তাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, মামলা দেয়া হচ্ছে, রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন জাহিদ সুজন বলেন, করোনা মহামারিকালে সার্বিক দিক বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। একইসাথে শুধুমাত্র মেস ভাড়া উপর নির্ভরশীল মেস মালিকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে।
মহামারিতে শিক্ষার্থীদের বিপর্যস্ত একাডেমিক জীবনে সমস্যা সমাধানে জরুরিভিত্তিতে শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রনেতা ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্য়োগকালীন এডুকেশন পলিসি উপায় অনুসন্ধান করতে হবে। শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমান শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে চাকরির বয়স বৃদ্ধি করার দাবি জানান তিনি।
অবিলম্বে এ সকল দাবি বাস্তবায়ন না করলে সারাদেশের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।