লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিতে করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাজার হাজার মানুষ পদ্মা পাড়ি দেন। মরণব্যাধি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চরম দুর্ভোগ এবং অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই কর্মস্থল যাত্রা করেন তারা।
শিমুলিয়ার চারটি ঘাট দিয়ে সকাল থেকে ফেরি পারাপার করা হচ্ছে। তবে আজ পদ্মায় পানি বেড়ে ৩ নম্বর ঘাটটি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এটি শনিবার উপরের স্তরে তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ম্যানেজার সাফায়েত হোসেন বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ১৪ ফেরি দিয়ে যাত্রী এবং যানবাহন পারাপার চলছে। কিন্তু যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব তো নয়ই, শারীরিক দূরত্বও মানছেন না। এমনকি কেউ কেউ মাস্ক পর্যন্ত পরছেন না। ঘাটে ফেরি আসার সাথে সাথে হুড়োহুড়ি করে উঠছেন তারা। গেল কয়েক দিনের চেয়ে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। তবে কাঁঠালবাড়ি থেকে হাজার হাজার যাত্রী শিমুলিয়ায় আসছেন।’
এদিকে, শিমুলিয়া থেকে অতিরিক্ত ভাড়া এবং গাদাগাদি করে যাতায়াতের বিষয়ে দায়িত্বশীলরা নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়ায় এসে গাড়ি পাওয়া দুষ্কর। যাদের অতিরিক্ত ভাড়া দেয়ার অবস্থা নেই তারা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হন। ছোট ছোট গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চলছে এখান রমরমা ব্যবসা। এক দিকে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠানো হচ্ছে আর অন্যদিকে ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি। এর বাইরে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করেও যাত্রী বহন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি নিয়মে রাখতে। কিন্তু যাত্রীর এত চাপ সামাল দিতে গিয়ে সব নিয়মে আনা যাচ্ছে না।’
এছাড়া মূল ঘাট থেকেও পদ্মায় কিছু স্পিডবোট চলতে দেখা গেছে।
তবে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর বলেন, ‘স্পিডবোট এখন আর চলাচল করছে না। লুকিয়ে চলার চেষ্টা করেছিল। আমরা সেগুলো বন্ধ করেছি। নদীতে নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দুটি স্পিডবোট ও ৪৩টি ট্রলার আটক করা হয়েছে।’