পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, শিশুদের জন্য সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শেখ রাসেল দিবস ২০২১ উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোন মায়ের বুক যেন খালি না হয় এবং সকল বাবা-মা যেন তাদের সন্তানদের নিয়ে গর্ব করতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নে সারাদেশে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন করেছে। ফলে শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। স্কুলগুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা আধুনিক প্রযুক্তি শেখার সুযোগ পাচ্ছে। শেখ রাসেল দিবসে আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে কোন শিশু যেন স্কুল থেকে ঝরে না পড়ে।
তিনি বলেন, আমাদের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই শিশু। তারা যেন উন্নত দেশের শিশুদের মতো উন্নত জীবনের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে সে জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
আরও পডুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু বার্ট্রান্ড রাসেলের একনিষ্ঠ অনুরাগী ছিলেন। তিনি নিজের পুত্রকেও প্রগতিশীল, মানবিক ও মুক্তচিন্তার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা নিয়ে কনিষ্ঠ পুত্রের নাম রেখেছিলেন রাসেল। বঙ্গবন্ধুর প্রভাবেই শিশু শেখ রাসেলের মধ্যে এসব গুণাবলীর বিকাশ ঘটেছিল। ঘাতকদের হাতে শেখ রাসেল নিহত না হলে আমরা হয়তো বার্ট্রান্ড রাসেলের মতো আরও একজন বড় মানুষ পেতাম।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম খান।
এছাড়া পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত