ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় ফুটপাতের শীতের কাপড়ের ব্যবসা জমে উঠেছে। অল্প দামে মোটামুটি ভালো পোশাক পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।
সরেজমিনে নগরীর আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাত ও অনেক জায়গায় সড়কের ওপর শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। প্রতিটি ভাসমান দোকানের সামনেই ক্রেতাদের ভিড়। কোথাও একদরে কোথাও দামাদামির মাধ্যমে চলছে ক্রয়-বিক্রয়।
বিক্রেতারা কেউ ভ্যানে করে, কেউ ফুটপাতে বসে বিক্রয় করছেন নানা বয়সীদের শিতের পোশাক বিক্রি করছেন। যার মধ্যে রয়েছে- সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, মোজা, হাতমোজা, কান ঢাকা টুপি, মাঙ্কি টুপি, শার্ট-প্যান্ট-ফুল হাতা টিশার্ট, জুতাসহ নানা বস্ত্র সামগ্রী।
আম্বরখানায় ভ্যানে করে কাপড় বিক্রেতা বিষ্ণু সরকার জানান, সোয়েটার, মোজা, কান ঢাকা টুপি বিক্রয় করেন তিনি। শীত বাড়ায় বেচাবিক্রিও বেড়েছে। বর্তমানে দৈনিক ২-৩ হাজার টাকার পণ্য বিক্রয় হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বেচা-কেনা চলে।
চৌহাট্টায় ফুটপাতে বসে কম্বল বিক্রয় করা ঝন্টু বিশ্বাসের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার কম্বল বিক্রি করছেন তিনি।
ঝন্টু জানান, কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ফুটপাতে তার চায়ের দোকান রয়েছে। শীত মৌসুমে কম্বলের চাহিদা বাড়ায় এই ব্যবসা শুরু করেছেন।
কম্বল কিনতে আসা সাব রেজিস্টার অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যজ্ঞেশ্বর রায় জানান, এখানে সাধ্যের মধ্যে কম দামে কম্বল পাওয়া যায়। তাই পরিবারের জন্য কম্বল কিনতে এসেছি।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হতে বিবিএ শেষ করে চাকরি না করে জিন্দাবাজারে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেছেন নাবিদ ইয়াসিন। তার দোকানেও ক্রেতাদের ভিড়। দুইজন কর্মচারী রেখে প্যাডিং জ্যাকেট, চায়না জ্যাকেট ও ম্যাগি হুডি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন নাবিদ।
নাবিদ বলেন, বিক্রয় খুব ভালো হচ্ছে। এ ব্যবসা করে মা, বাবা, ভাই, বোন নিয়ে পরিবার চলছে তার।