মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন দেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন নয়: হাইকোর্টের রুল
অন্যদিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় করা অপর দুই মামলায় কাজলের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।
শের-ই-বাংলা নগর থানার মামলায় কাজলের জামিন প্রশ্নে গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল দিয়েছিল। অপর দুই মামলায়ও তার জামিন প্রশ্নে রুল দেয়া হয়েছিল।
তিনটি বিষয় এক সাথে শুনানির জন্য আজ হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সাথে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ‘হাইকোর্ট শের-ই-বাংলা নগর থানার মামলায় কাজলকে জামিন দিয়েছে। অপর দুই মামলায় তার জামিন প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য ১৫ ডিসেম্বর তারিখ রেখেছে।’
কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ মার্চ শের-ই-বাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সাংসদ সাইফুজ্জমান শিখর।
একই আইনে কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী আলাদাভাবে আরও দুটি মামলা করেন।
গত ১১ মার্চ ঢাকার চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’হয়েছিলেন কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে গভীর রাতে যশোরের বেনাপোলের সাদীপুর সীমান্তে একটি মাঠ থেকে কাজলকে উদ্ধার করা হয়। পরে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিজিবির করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।