অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয় ও ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহি নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে এবং চিন্তার সংস্কার করে সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সচিবদের নিয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি সচিবদের নিয়ে প্রথম বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে।’
দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজ করার মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস বলেন, সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করাসহ স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যৌক্তিক মেয়াদের বিষয়ে শীর্ষ সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ
তিনি বলেন, সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ করা হবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী তৈরি হওয়া আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণাকে দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্ভয়ে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে গণমাধ্যমের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান