করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সোমবার ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক, রেল, নৌ, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে উৎপাদন ও সেবায় নিয়োজিত গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া বিদেশি ও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে না।
আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা কাজে (গ্যাস, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট) নিয়োজিতরা নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবেন।
সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, আদালত, বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে এদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেয়া করতে পারবে। শিল্প কারখানা, নির্মাণকাজ চলবে। শিল্প কারখানা শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আনা নেয়া করতে হবে। বিজিএমইএ, বিকেএমইকের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি (ওষুধ কেনা, দাফন, সৎকার, নিত্যপণ্য কেনা) প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই দোকানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা যাবে না। শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সীমিত পরিসরে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।