সব দায় র্যাবের ঘাড়ে চাপানো অবিচার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেছেন, ‘র্যাব কখন তৈরি হয়েছিল? র্যাব যারা তৈরি করেছিলেন এখন তারাই র্যাবকে অপছন্দ করছেন। র্যাবের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছেন। র্যাব যে ভালো কাজগুলো করছে সেগুলো তারা তুলে ধরছেন না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘র্যাব যে মাদক নির্মূলে কাজ করছে, র্যাব যে ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, জলদস্যুমুক্ত করলো, চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যাচ্ছে। তারা যে সব সময় জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমনের জন্য কাজ করছে সে কথাগুলো তারা কখনো তুলে ধরেন না।’
সম্প্রতি ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা র্যাব সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তি মিশন থেকে প্রত্যাহারের যে দাবি করেছে সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ সময় সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় জনগণের কল্যাণে সব করেছে পুলিশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নানা ধরনের মানবাধিকারের কথা বলে, আমরা তো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, এমন কোনো দেশ নাই যেখানে এনকাউন্টারের ঘটনা না ঘটে। পুলিশের সঙ্গে যদি কেউ অস্ত্র তুলে কথা বলে, পুলিশ তো তখন চুপ করে বসে থাকে না। তখনই এইসব ফায়ারের ঘটনা ঘটে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো যদি সব এলিট ফোর্স র্যাবের ঘাড়ে দিয়ে দেয়া হয় তাহলে আমি মনে করি এটা তাদের প্রতি অবিচার হচ্ছে।’
র্যাব কি তবে রাজনৈতিক বিরোধের মুখে?- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আপনারাই বিচার করুন।’
ডিসিদের কি নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘যে গতিতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশ চালাচ্ছেন এটা ধরে রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই সিকিউরিটি বা সুরক্ষা সাসটেইনেবল করতে হবে। আমরা চাচ্ছি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিশ্বমানের হবে। এটাই ছিল তাদের সাথে কথা।’
আরও পড়ুন: অভিজিৎ হত্যায় দণ্ডিত দু’জন বিদেশে পালিয়ে আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘তাদের ছোটখাট প্রশ্ন ছিল। যেগুলো আমরা এখনি করতে পারবো বলেছি করে ফেলবো। আর যেগুলো করতে একটু সময় লাগবে সেগুলোর কাজ করছি। আরেকটি কথা এসেছিল, জুয়া আইন সংশোধনের একটি প্রস্তাব তারা এনেছিল। তাদের প্রস্তাব ছিল এটার শাস্তি বাড়ানো যায় কিনা। এই আইনটি ব্রিটিশ আমলের আইন, যেটা আমরা এখন ফলো করছি। এই আইনটি কোথা থেকে হয়েছিল বা কিভাবে হয়েছিল আমাদের কাছে সেটার তথ্য ছিল না। আমরা এটা খুঁজে বের করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই আইনটিকে হাল নাগাদ করতে একটি ব্যবস্থা নেবো।’
সংসদ নির্বাচনের আগে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডিসি এসপি যারা এই প্রশাসনের কাজে নিয়োজিত আছেন তারা মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করবে এটাই ছিলো আমাদের আজকের মূল কথা।
দণ্ডবিধির ২২৮ ধারা মোবাইল কোর্ট তফসিলে যুক্ত করা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে কোনো আলোচনা আজকে হয় নি। এটা হয়তো কেবিনেট সচিব আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। আমি শুনেছি এরকম একটা কথা হয়েছে। এটা কেবিনেট সচিব ও আইন সচিব মিলেমিশে কিছু একটা করবেন।
আরও পড়ুন: ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশে মাদক সমস্যা বিরাজমান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী