দেশের অর্থনৈতিক খাতে গতি বজায় রাখতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো বন্ধুপ্রতীম দেশসহ সর্বত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যান্য দেশের স্থিতিশীলতার ওপর অনেকটা নির্ভর করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বত্র স্থিতিশীলতা চাই। আমরা চাই আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো স্থিতিশীলতা ফিরে পাক।’
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একটি ছোট দলের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, পরস্পর নির্ভরশীল বিশ্বে বসবাস করায় তারা সর্বত্র শান্তি ও স্থিতিশীলতা চান।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে ভিসা দেয়ায় রোমানিয়াকে ধন্যবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক কী হয়। আমরা এখনও এটি নিয়ে আলোচনা করতে বসিনি।’
ঋণের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা আবারও উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন,এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। ‘আমরা বিচক্ষণ (ঋণ নেয়ার সময় এবং তার পরবর্তী ব্যবস্থাপনা)। আমরা এতটা ঋণ করি না এবং যখন আমরা ঋণ করি তখন অনেক হিসাব করেই করি।’
শক্তিশালী রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ সমর্থিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শক্তির কথা তুলে ধরে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা (ঋণ) পরিশোধে সক্ষম।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংও পুনর্ব্যক্ত করেছেন এদেশে কোনো ঋণের ফাঁদ নেই।
ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতেও আলোচনা করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীন ত্রিপক্ষীয় প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় থমকে আছে এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (চীনা) সহযোগিতা চেয়েছি।’
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের ব্যাপারে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দিল্লির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী