তিনি বলেন, ‘এসপিসিপিডি প্রকল্প ও বিএপিপিডির মাধ্যমে জনগণের কাছে যাওয়ার একটি ক্ষেত্র রচিত হয়েছে। বিষয়ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক কার্যক্রম নিয়ে মানুষের দোড়গোড়ায় হাজির হওয়া সম্ভব হচ্ছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।’
‘স্ট্রেন্থেনিং পার্লামেন্টস ক্যাপাসিটি ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইস্যুজ (এসপিসিপিডি)’ প্রকল্পের আওতায় গঠিত ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএপিপিডি)’ তিনটি সাব-কমিটির যৌথসভায় মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাচল ক্লাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন শারমিন বলেন, ‘সচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে শুরু করে কার্যকর আইন প্রণয়ন, বিদ্যমান আইনগুলোর সংশোধনে কাজ করছে বিএপিপিডি। তৃণমূল পর্যায়ে যোগাযোগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি ও মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক, স্মারক ও পত্র আদান-প্রদানসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে তিনটি সাব-কমিটি।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: স্পিকার
জাতীয় সংসদ আধুনিকায়নের কাজ পরিদর্শন করলেন স্পিকার
যুব উন্নয়নে কর্মসংস্থান ব্যাংকের ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ’ কার্যকর পদক্ষেপ: স্পিকার
২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, আগামী এক বছর জনকল্যাণমুখী কী ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে সে বিষয়ে আজকের আলোচনা সভা থেকে একশন প্ল্যান গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে প্রকল্পের কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিপুল জনসমাগম এড়িয়ে ছোট পরিসরে জনসচেতনামূলক কার্যক্রম চালানোর পরামর্শ দেন স্পিকার।
শিরীন শারমিন বলেন, করোনা পরিস্থিতে সমগ্র বিশ্বেই নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে সকলকে ভাবতে হবে।
‘বাল্যবিয়ে রোধে হাইস্কুল ও কলেজগুলোতে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রকল্পের কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা জরুরি,’ বলেন তিনি।
আজকের আলোচনা সভাকে উপস্থিত সকলের ধারণা ও প্রস্তাবগুলো উপস্থাপনের একটি সুযোগ বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
আরও পড়ুন: ‘এক্সিলারেট বাংলাদেশ’ স্টার্টআপ মডেলকে সুসংহত করবে: স্পিকার
অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে: স্পিকার
সাব-কমিটিগুলোর সভাপতি, অন্যান্য সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সকলকে সফলভাবে তাদের কার্য সম্পাদনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান স্পিকার।
সংসদ আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় মেহের আফরোজ, শামসুল হক টুকু, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, হাবিবে মিল্লাত, শহীদুজ্জামান সরকার, আরমা দত্ত ও আদিবা আঞ্জুম মিতা বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব এম এ কামাল বিল্লাহ, জাকিউর রহমান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।