ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্পিকার।
তিনি জনস্বার্থে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য আনোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ এখন তথ্য প্রবাহের সুবর্ণ সময় অতিবাহিত করছে। আইসিটির সহজলভ্যতার ফলে তথ্য প্রবাহের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে।
নারীরা এখন সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে গ্রহণ করছে। যা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ও নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ড. শিরীন বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমকে বিবেচনা করা হয়। শক্তিশালী গণমাধ্যম রাষ্ট্রযন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার চালিকাশক্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণকে উজ্জীবিত করতে গণমাধ্যমগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ১৫ সাংবাদিককে ১৪ বিষয়ে ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন স্পিকার।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্য, সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত রিপোর্টারদের অধিকার, পেশাগত উন্নতি আর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে ডিআরইউ সুনামের সাথে পথ অতিক্রম করে চলেছে।