সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতিকভাবে টেকসই বাংলাদেশ অর্জন করতে তারা কাজ করছে এবং তারা ইউনেস্কো ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের মতো বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে কাজ করছে।
স্কটিশ পার্লামেন্টে সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী খালিদ বলেন, আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি সাংস্কৃতিকভাবে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই বাংলাদেশ নির্মাণে এই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আমাদের কাজের হৃদপিণ্ড।
এডিনবার্গের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্কটিশ পার্লামেন্টে ২৬-২৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলনে ব্রিট্রিশ কাউন্সিল অংশগ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়াও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ‘হোল অব সোসাইটি’ অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন ‘আমরা বিশ্বাস করি একটি সুখী, সমৃদ্ধ, অগ্রসর ও সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের এই চেষ্টায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না।’
এই শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য সাংস্কৃতিক নীতি এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবকে অনুপ্রাণিত করার জন্য একটি অনন্য এবং বৈশ্বিক সুযোগ দেয়া।
আয়োজনটিতে আমাদের সময়ের সংস্কৃতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের প্রধান উদ্বেগের ধারণা উঠে আসে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল, এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল, স্কটিশ পার্লামেন্ট এবং স্কটিশ ও যুক্তরাজ্য সরকারসহ ইভেন্টটির আয়োজকরা সারা বিশ্ব থেকে আসা শিল্পী, মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই ৬ষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি সম্মেলনে স্বাগত জানিয়েছে।
সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সাংস্কৃতিক বিনিময় বিভাগ) কাজী নুরুল ইসলাম ও ব্রিট্রিশ কাউন্সিলের হেড অব আর্টস নাহিন ইদ্রিসসহ একটি প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন খালিদ।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতাদের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সংস্কৃতির অবস্থান এবং অনুশীলনের উদাহরণগুলি ভাগ করে নেন।
এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলন ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্যার জোনাথন মিলস বলেন, স্কটিশ পার্লামেন্টে এডিনবার্গের বিশ্ব-বিখ্যাত উৎসবের সময় একটি ব্যক্তিগত সাংস্কৃতিক সম্মেলনে ফিরতে পেরে আমরা পুলকিত। কারণ তারা তাদের ৭৫তম বছর উদযাপন করছে।
মিলস বলেন, সম্মেলনের অংশীদাররা –দ্যা ব্রিটিশ কাউন্সিল, এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল, স্কটিশ পার্লামেন্ট এবং স্কটিশ ও যুক্তরাজ্য সরকার এমনকি সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতেও জীবন ও সমাজকে পরিবর্তন করার জন্য সংস্কৃতির শক্তির পক্ষে জোরালোভাবে সমর্থন করার জন্য আবার একত্রিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে: কে এম খালিদ