সাবেক এ কূটনীতিক সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মোয়াজ্জেম আলীকে বুধবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে ইউএনবিকে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে এবং শুক্রবার কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পরও মোয়াজ্জেম আলী চুক্তিভিত্তিক নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত নভেম্বরে সেটার মেয়াদও শেষ হওয়ায় দেশে ফিরে আসেন তিনি।
মোয়াজ্জেম আলী ১৯৪৪ সালের ১৮ জুলাই সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস পাস করেন। এরপর তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন এবং লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অফ অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে পড়াশোনা করেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। পরে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দেন।
মোয়াজ্জেম আলী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস খুঁজে পেতে সহায়তা করার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সহায়তা করেছিলেন।
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮২-১৯৮৬ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন এবং ১৯৮৬-১৯৮৮ সালে ভারতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার হিসাবে কাজ করেছিলেন।