তিনি বলেন, ‘আপনাদের ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, কিশোর গ্যাং তৈরি, মাদক, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির মতো কিছু সমস্যার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারও পরিচয় বিবেচনায় না নিয়ে বরং অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করুন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন সে অপরাধী। ‘সুতরাং, অপরাধীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আপনাদের সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে । আমরা চাই আপনারা এটি করবেন,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমিতে ১১৬তম, ১১৭তম এবং ১১৮তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রদানকালে এ কথা বলেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা এই কোর্সগুলোর ওপর প্রতিবেদন উত্থাপন করেন।
৭০ পুরুষ এবং ৪৬ নারী, মোট ১১৬ জন ক্যাডার ৩-৫ মাসব্যাপী ট্রেনিং কোর্সে অংশ নেন। করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে কোর্স সম্পন্ন হয় এবং অংশগ্রহণ করা সবাই এতে উত্তীর্ণ হন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফরহাদ হোসেন ১১৬তম, ১১৭তম ও ১১৮তম প্রশিক্ষণ কোর্সের যথাক্রমে জিসান বিন মাজেদ, হাফিজুল হক ও তরিকুল ইসলামকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য রেক্টর পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
তিন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে বক্তব্য দেন তিন নতুন কর্মকর্তা- জিসান বিন মাজেদ, হাফিজুল হক এবং নুসরাত জাহান (১১৬তম কোর্স)।