অধিদপ্তর এক বুলেটিনে জানিয়েছে, জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া বন্যায় দেশের মোট ১৬০টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও নেত্রকোনার মানুষ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টাঙ্গাইলে ৪১, জামালপুরে ৩২, মানিকগঞ্জে ২৬, কুড়িগ্রামে ২৪, লালমনিরহাটে ১৯, গাইবান্ধায় ১৬, সিরাজগঞ্জে ১৫, কিশোরগঞ্জে ১১, মুন্সিগঞ্জে ১০, ঢাকায় ৯, শরীয়তপুর ও সুনামগঞ্জে আটজন করে, নেত্রকোনায় সাত, গাজীপুর ও রাজবাড়ীতে ছয়জন করে, রংপুরে চার, নীলফামারী, বগুড়া, ফরিদপুর, নওগাঁ ও গোপালগঞ্জে দুজন করে নিহত হয়েছেন।
সরকার বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ১ হাজার ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে বন্যার অন্যতম হটস্পট বাংলাদেশ সম্পর্কে সর্বশেষ গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর প্রভাবে ২৫০ মিলিয়ন উপকূলবাসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পরবর্তী ৮০ বছরে জনসাধারণের চারপাশে বন্যার পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা লাখ লাখ উপকূলীয় বাসিন্দাকে বিপন্ন করে তুলবে। মানুষ যদি জীবাশ্ম জ্বালানি আরও বেশি পরিমাণে জ্বালাতে থাকে এবং প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে তবে আরও ৭৭ মিলিয়ন মানুষ বন্যার ঝুঁকিতে পড়তে পারে যা ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী আয়ান ইয়ং বলেন, ‘এটি একটি নীতিগত দৃষ্টিকোণ থেকে সমালোচনামূলক গবেষণা, কারণ এটির ঝুঁকিগুলি রাজনীতিবিদদের একটি নির্ভরযোগ্য অনুমান এবং ব্যবস্থা নেয়ার একটি ভিত্তি সরবরাহ করে।’