সিলেটের ‘কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি- একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকল্পটি অনুমোদন দেন।
মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১২-১৪ অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়কটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে পাথরবাহী ট্রাক চলাচল, বিমানবন্দরে যাতায়াতকারীদের সুবিধা ও পর্যটকবাহী যান চলাচলের জন্য সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার দাবি ওঠে সিলেটে। এর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়। পরের বছর চার লেন সড়কের সঙ্গে দুটি সার্ভিস লেন যুক্ত করে তৈরি করা হয় সংশোধিত প্রস্তাবনা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প জানুয়ারিতে একনেকে উত্থাপন: মন্ত্রী
২০১৯ সালে শুধুমাত্র চার লেনের প্রস্তাবনা জমা পড়ে মন্ত্রণালয়ে। আওয়ামী লীগ চলতি মেয়াদে সরকার গঠনের পর সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে গতি আনেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
সড়কটি সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ছয় কিলোমিটার কুমারগাঁওয়ে শুরু হয়েছে এবং বাদাঘাট দিয়ে অতিবাহিত হয়ে এয়ারপোর্টের কাছে ওসমানী বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়। বাদাঘাট লিংক রোডসহ সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৭৮০ কিলোমিটার ও প্রস্থ পাঁচ দশমিক ৫০ মিটার। সড়কটির শেষ প্রান্ত থেকে ৮০০ মিটার দূরে সিলেট সড়ক শুরু হয়েছে, যা বড় বড় পাথর কোয়ারির সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।
আরও পড়ুন: একনেকে ৭৯৬ কোটি টাকার চার প্রকল্প অনুমোদন
ভোলাগঞ্জ হতে পাথর বহনকারী ট্রাকগুলো সিলেট শহরের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে, তবে নগরীর কেন্দ্রস্থল আম্বরখানা ইন্টারসেকশনে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে সময় ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো আম্বরখানার দীর্ঘ যানজট এড়িয়ে বাদাঘাট, কুমারগাঁও দিয়ে জাতীয় মহাসড়কে পৌঁছাবে। এতে সিলেট শহরের যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে।