বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছেন, ‘তারা (সুইজারল্যান্ড) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্ত হতে চান এবং তারা এই বহুপাক্ষিক ফোরামে শান্তি, আন্তর্জাতিক আইন, টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
তিনি বলেন, ‘তবে আমাকে এখানে পরিষ্কারভাবে বলতে দিন। কাজটা সহজ হবে না: আমরা যে অসংখ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, সেগুলো বিবেচনায় রেখে পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, সুইজারল্যান্ড একটি গুরুতর বৈশ্বিক ক্রীড়ানক এবং বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’- অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
ডিকাব সদস্যরা এবং রাষ্ট্রদূত শুয়ার্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
রাষ্ট্রদূত শুয়ার্ড বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যেসব ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হচ্ছে এবং অবদান রাখছে তা আসলে সুইজারল্যান্ড বিশ্বব্যাপী কিসের পক্ষে এবং কিসের প্রসার ঘটাচ্ছে তারই প্রতিফলন।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সকলের জন্য একটি উন্নত, আরও নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যত গড়ার বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষার অংশ।’
চলতি বছরের জুনে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০২৩-২৪ সালের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে সুইজারল্যান্ডকে নিরঙ্কুশভাবে নির্বাচিত করেছে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
সুইস রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরবর্তী পর্যায়ে অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে।
এ লক্ষ্যে তিনি বলেন, সুশাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা প্রচার, ক্ষমতায়ন এবং নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তি, সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন এবং আমাদের কর্ম ও উন্নয়ন এই সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা নারী ও যুবকদের মতো পরিবর্তনের চালিকাশক্তির সঙ্গেও কাজ করবে এবং সুশীল সমাজের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করার এবং ভারসাম্য আনার জন্য সকলের অংশগ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করবে; যা স্থায়িত্ব ও অন্তর্ভুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এসডিজিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততাকে আরও জোরদার করতে আগ্রহী। এরমধ্যে একটি এসডিজি আমাদের হৃদয়ে বিশেষভাবে প্রিয়. সেটি হল এসডিজি-১৬ তথা শান্তি ও ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। কেননা এটি আমাদের (সুইজারল্যান্ডের) এসডিজির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, শান্তি, ন্যায়বিচার ও অন্তর্ভুক্তি ছাড়া দারিদ্র্যের অবসান, শিক্ষা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রসারের মতো লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন বা অসম্ভব বলে মনে হয়।
তিনি আরও বলেন,‘বহুপাক্ষিকতা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য।
আরও পড়ুন: হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বেইজিং
এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র: সিসন