বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রাষ্ট্রদূত বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ‘জটিল কাজ’ যার জন্য সমাজের প্রতিটি অংশের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে গেলে, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্য কোনো দলের ওপর সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিক্স ম্যাটারস’ শীর্ষক একটি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় হাস বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার, গণমাধ্যম, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দল- প্রত্যেকেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে চার মুসলিম হত্যা: অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তার
রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের কেউ যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় বা কেউ যদি অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয় তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, এই দেশের সব নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার প্রচেষ্টার দৃঢ় সমর্থক হিসেবে থাকবে তারা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের একটি মৌলিক উপায় হলো তাদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া।
আরও পড়ুন: করোনা টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
সারাদেশে বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের হাতের কাছে রাজনৈতিক জ্ঞান ও দক্ষতা নিয়ে যেতে ইউএসএআইডির ‘স্ট্রেংথেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল চিফ অফ পার্টি ডানা এল ওল্ডস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।