রাষ্ট্রদূত হাস
পূর্বশর্ত ছাড়াই সব পক্ষ সংলাপে অংশ নেবে: সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত হাসের প্রত্যাশা
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আশা প্রকাশ করেছেন, উত্তেজনা প্রশমন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে বের করতে সব পক্ষ কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই ‘সংলাপে’ অংশ নেবে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস সহিংসতার ব্যবহার, জনগণকে তাদের সংগঠন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়াসহ গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়ানোর এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা, হাসপাতাল ও বাসে আগুন অগ্রহণযোগ্য: যুক্তরাষ্ট্র
সিইসিকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, সাক্ষাৎকালে তিনি নির্বাচন আয়োজনে অপরিহার্য কাজে নির্বাচন কমিশনের অনন্য সাংবিধানিক ভূমিকাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যেমনটা তারা সবাই জানেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন শুরু হয় প্রকৃত ভোটগ্রহণের দিনের কয়েক সপ্তাহ, এমনকি কয়েক মাস আগে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ও নির্বাচন কমিশন সবাই এ ব্যাপারে দায়ী।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশের দিন রাস্তা বন্ধ করা হবে কিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন রাষ্ট্রদূত হাস
সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করে, কে জিতবে তা নয়: রাষ্ট্রদূত হাস
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন যে যদিও পরবর্তী সংসদ নির্বাচন বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত, তবে যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন প্রক্রিয়ায় আগ্রহী, কে জিতবে বা হারবে তাতে নয়।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কঠোর আইনের কারণেই নয়, গণমাধ্যমের মালিকানা ও এটি সাংবাদিকদের কাজকে কীভাবে প্রভাবিত করে তার আলোকে বাংলাদেশে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে সে বিষয়ে সম্পাদকরা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন।
সভা সঞ্চালনা করেন পরিষদের সভাপতি, ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। হাস জোর দিয়ে বলেন যে তার দেশ বাংলাদেশের কোনো একটি দলকে অন্য দলের বিপরীতে পক্ষপাত করে না এবং তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সকল সংস্থাকে তাদের যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত অবশ্য ইঙ্গিত করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও অধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে স্বচ্ছ হওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ ও বিতর্ক রয়েছে, এক কথায় বলা যায় জবাবদিহিতা। এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য সংস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হাস বলেন যে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার আগে কোনো দেশই আজ আগের চেয়ে ভালো নয়। বরং কিছু দেশ বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
তিনি মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের উতরে যাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কের বৈদেশিক সাহায্য/সরকারি উন্নয়ন সহায়তার (ওডিএ) বিষয়েও কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন অবকাঠামো, উদ্ভাবন ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রদান করে। তবে এটি জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রেফারেন্সেস (জিএসপি) এর মতো কিছু একই নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখান থেকে বাংলাদেশ ২০১৩ সালে বাদ পড়েছিল।
রাষ্ট্রদূত ব্যাখ্যা করে বলেন, যদিও রানা প্লাজার ঘটনার পর থেকে শ্রমিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, সামগ্রিক শ্রম অধিকার পরিস্থিতি এই সুযোগ-সুবিধাগুলো অর্জন বা প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে অব্যাহত রয়েছে।
তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অদূর ভবিষ্যতে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনার অভাব থাকা সত্ত্বেও দরজা খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে তাদের জীবনের ঝুঁকি ছাড়াই ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারে না, যদিও তাদের প্রত্যাবাসন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো আশা ছাড়াই তারা হতাশার মধ্যে নেই।’
সভায় সঞ্চালক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা মামুন ও ঢাকা ট্রিবিউনের সহযোগী সম্পাদক আবু সাঈদ আসিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব পক্ষের সমান ভূমিকা প্রয়োজন: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের পাক নৃশংসতা ছিল ‘ভয়ানক’: রাষ্ট্রদূত হাস
২ বছর আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সব পক্ষের সমান ভূমিকা প্রয়োজন: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রাষ্ট্রদূত বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ‘জটিল কাজ’ যার জন্য সমাজের প্রতিটি অংশের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে গেলে, বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্য কোনো দলের ওপর সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিক্স ম্যাটারস’ শীর্ষক একটি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় হাস বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার, গণমাধ্যম, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দল- প্রত্যেকেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে চার মুসলিম হত্যা: অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তার
রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের কেউ যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় বা কেউ যদি অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয় তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, এই দেশের সব নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার প্রচেষ্টার দৃঢ় সমর্থক হিসেবে থাকবে তারা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের একটি মৌলিক উপায় হলো তাদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া।
আরও পড়ুন: করোনা টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
সারাদেশে বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের হাতের কাছে রাজনৈতিক জ্ঞান ও দক্ষতা নিয়ে যেতে ইউএসএআইডির ‘স্ট্রেংথেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করছে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল চিফ অফ পার্টি ডানা এল ওল্ডস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
২ বছর আগে
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের পাক নৃশংসতা ছিল ‘ভয়ানক’: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার বলেছেন, নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তা ছিল ভয়ানক নৃশংসতা। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে মার্কিন আইনের অধীনে গণহত্যা নির্ধারণের প্রশ্নটি খুব কঠিন আইনি প্রশ্ন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার অবস্থানে আছে কি না জানতে চাইলে ‘ডিক্যাব টক’-এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি নির্ধারণ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ গণহত্যা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের মুখোমুখি হবে না বাংলাদেশ: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে নির্বাসনের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত জটিল আইনি প্রক্রিয়া এবং এটি এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের আগ্রহ সম্পর্কে অনেক সচেতন কিন্তু বর্তমানে তা পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ‘কোন ছাড় দেয় না’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
পূর্বের বক্তব্যের বরাত দিয়ে তিনি আবারও বলেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার,সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সমস্যাগুলোকে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে বিষয়ে কোনও ছাড় দেয়া হবে না।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ডিক্যাব টকের আয়োজন করে।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা কীভাবে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি এবং কীভাবে কর্মমুখী গভীর সম্পর্ক করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
চলতি বছরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক দ্বিপক্ষীয় সংলাপ হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, মাসুদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের ‘সম্পূর্ণতা’ এবং দুই দেশ কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে কথা বলেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত সব দ্বিপক্ষীয় সংলাপের বিষয়েও আলোচনা করেছেন তারা।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক ফোরামের বিষয়েও তারা কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ‘একসঙ্গে দ্রুত’ যেতে পারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও প্রসারিত করতে বাংলাদেশের মতো যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত যেতে ইচ্ছুক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই এটা বিশ্বাস করি। এটি শুধু কথার কথা নয়।’
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের (ইউএসবিবিসি) অংশীদারিত্বে এইচএসবিসি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম: বিল্ডিং অন ৫০ ইয়ারস অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
অপর একটি প্যানেল আলোচনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান এবং শেভরনের ভাইস প্রেসিডেন্ট (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) জে আর প্রাইরও বক্তব্য দেন।
২ বছর আগে
নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না। তিনি বিশ্বের দেশগুলোর গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রবিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক: উন্নত সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের দিকে অগ্রসর হচ্ছে’ শীর্ষক সেমিনারের এসব কথা জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
সেমিনারে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাকে স্পষ্ট করে বলতে দিন: আসন্ন নির্বাচনে (বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে) কোনো পক্ষ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র। আমরা কেবল একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রত্যাশা করি, যাতে বাংলাদেশিরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে; যে কে তাদের দেশ চালাবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মার্কির রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত তিনটি ক্ষেত্রে আলোকপাত করতে চাই- নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, দুই দেশ গণতন্ত্রের প্রচার ও মানবাধিকার রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি স্বীকার করেন যুক্তরাষ্ট্র (নিজেও) নিখুঁত নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদনের মান নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন
তিনি বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এই যাত্রার মধ্যে রয়েছে পুলিশের জবাবদিহিতা বিষয়ে আমাদের নিজস্ব সমস্যা নিরসন এবং নির্বাচনের দিনে সকল আমেরিকান যেন ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। সেইসঙ্গে আমরা সারা বিশ্বের দেশগুলোকেও তাদের গণতন্ত্র জোরদার করতে একই ধরনের অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
হাস বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে মর্মে বিবৃতি দেয়ায় আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে এ আইন সংস্কারে আইনমন্ত্রীর সাম্প্রতিক প্রতিশ্রুতিকেও আমি স্বাগত জানাই।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু নির্বাচনের দিন ভোটদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কার্যত, ইতোমধ্যেই নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য আবশ্যক হলো নাগরিকদের মত প্রকাশ, সাংবাদিকদের ভীতিহীন অনুসন্ধান এবং সুশীল সমাজের ব্যাপক পরিসরে জনমত গঠনের সুযোগ নিশ্চিত করা।
বর্ধিত নিরাপত্তা সহযোগিতা
হাস বলেন, আমরা আমাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারি। আমাদের দু’দেশের সরকার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ করেছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে আমরা আরও দুটি সংলাপ আয়োজন করবো।
এ সময় তিনি দুটি প্রস্তাবিত চুক্তির কথা বলেন- জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) এবং অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (এসিএসএ)।
তিনি বলেন, জিএসওএমআইএ-এর আওতায় সামরিক ক্রয় সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদানের মূলনীতি নির্ধারিত হবে। এই রূপরেখাটি বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী অভীষ্ট ২০৩০ অর্জনে অবদান রাখবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির সহায়তায় বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন ত্বরান্বিত হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এসিএসএ-এর আওতায় আমাদের সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমায় একে অপরকে সহায়তা দিতে পারবে এবং বিমান, যানবাহন বা নৌযান কোন সমস্যায় পড়লে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বা খুচরা যন্ত্রাংশ ধার দিতে পারবে। কিংবা শুধু জ্বালানি ও খাদ্য বিনিমযয়ে সক্ষম হবে। ২০২০ সালে বিস্ফোরণের পর বৈরুত বন্দরে জাহাজ আটকে পড়া অথবা বঙ্গোপসাগরে যৌথ মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম চলাকালে নিরাপত্তা ও যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টিতে এই এসিএসএ-এর একটি প্রায়োগিক প্রভাব রয়েছে। যেগুলো একটি ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে সক্ষম করার জন্য, প্রতিরক্ষা বাণিজ্যের সুযোগ সম্প্রসারণ, তথ্য আদান-প্রদান এবং সামরিক বাহিনীতে ‘অত্যাবশ্যক’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির প্রশংসায় মার্কিন অ্যাম্বাসেডর
জিএসওএমআইএ ও এসিএসএ সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এগুলো কারিগরি চুক্তি। এগুলো ‘জোট’ বা ‘সামরিক চুক্তি’র পর্যায়ভুক্ত নয় কিংবা এগুলো কোন বিস্তৃত ও অস্পষ্ট প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিও নয় যেমনটা ২০০২ সালে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছিল চীনের সঙ্গে। এগুলো কেবল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির উপাদান হিসেবে এবং আপনাদের নিজ প্রতিরক্ষা অভীষ্টকে এগিয়ে নিতে আপনাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা করবে। তাছাড়া এগুলো প্রচলিত বিষয়। ৭০টিরও বেশি দেশ আমাদের সঙ্গে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
তিনি বলেন, আইনপ্রয়োগ বিষয়ে, আমি সৎভাবে বলতে চাই। সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। আমরা এমন একটি র্যাব চাই যারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে যেমন কঠোর থাকবে তেমনি কঠোর থাকবে মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, কিন্তু র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মানে এই নয় যে, আমরা জোরদার আইন প্রয়োগ বিষয়ে আমাদের ইতোমধ্যে স্থাপিত শক্তিশালী নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে পারবো না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবো।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন পুলিশ, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইউনিট এবং চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রস্তাবিত একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ কার্যক্রমগুলো বেগবান হবে এবং পুলিশকে নতুন সাজ-সরঞ্জাম অনুদান প্রদান ত্বরান্বিত হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ গ্রহণে প্রস্তুত।
আগামী মাসে আমি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির উদ্বোধনী সফরকে স্বাগত জানাবো।
তিনি ঘোষণা করেছেন যে এই গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স থেকে এ যাবৎ সর্বপ্রথম পূর্ণকালীন অ্যাটাশেকে স্বাগত জানানোর ঘোষণা দিতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। আমাদের দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আমরা যে গুরুত্ব দিয়েছি তার অন্যতম প্রমাণ এই পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বড় অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে সমান তালে প্রতিযোগিতা করবে। মেধাস্বত্ব অধিকার, সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা, মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা পরিবেশের মতো বিষয়গুলো আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশ যেভাবে ইন্টারনেট কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে সেটা বিদেশি বিনিয়োগ ও বিভিন্ন কোম্পানির বাংলাদেশে ব্যবসা করার আগ্রহকেও প্রভাবিত করবে বলেও জানান তিনি।
নতুন সুযোগ
রাষ্ট্রদূত বলেন, এছাড়া আরও অনেক সুযোগ আছে যার সদ্ব্যবহার আমরা করতে পারি। উদাহরণ স্বরূপ, নতুন প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি)-এর দক্ষিণ এশিয়াব্যাপী দূষণমুক্ত জ্বালানি, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা ও ব্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন খাতে চার বিলিয়ন ডলারের সক্রিয় অর্থায়ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, শ্রম অধিকার না থাকায় যেমন বাংলাদেশ জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বাণিজ্য সুবিধা পাবার যোগ্য হয়নি, ঠিক একই কারণে ডিএফসিও বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় অপারগ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের দুটি দেশ গত ৫০ বছরে একসঙ্গে একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলেছে। আমাদের দু’দেশের মানুষে-মানুষে বন্ধন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করে এবং তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের (যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়া) মধ্যে ১৪তম এবং তাদের সংখ্যা দ্রুততম হারে বাড়ছে।
তিনি বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে। আমাদের অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এবং আমাদের সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয় ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। আমরা আপনাদের গতির সঙ্গে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। ‘কারণটা সহজ, বদলে গেছে বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি। আপনারা স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা উত্তীর্ণ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
হাস বলেন, এই পরিবর্তন এক গতিশীল নতুন সম্পর্ক নির্দেশ করে। সহজ কথায়, বড় বড় অর্থনীতি ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নেতৃত্বশীল দেশগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি পরিচালনা করে ভিন্নভাবে।
বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান।
২ বছর আগে