জাতীয় পতাকাবাহীর উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে বিশেষ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে রিয়াদের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত মার্চ থেকে সৌদি আরবের সাথে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে পারছে না।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা থেকে দুটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেদ্দা থেকে বিমানের আরেকটি বিশেষ ফ্লাইট আগামী ১ জুলাই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার শিডিউল রয়েছে।
এর আগে গত ১১ মার্চ সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিরা যারা দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক তাদের দেশে ফেরার উদ্যোগ গ্রহণ করে দূতাবাস। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিরা আবেদন করলে তাদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
তালিকায় গুরুতর অসুস্থ, ভিজিট ভিসায় এসে আটকেপড়া ও যারা ফাইনাল এক্সিট নিয়ে চূড়ান্তভাবে দেশে যাবার অপেক্ষায় ছিলেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০০ বাংলাদেশি প্রবাসী দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, ‘সৌদি আরবে প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করেন, অনেকেই জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে ফিরতে চান, অনেক অসুস্থ প্রবাসী রয়েছেন, অনেকে ভিজিট ভিসায় এসে দেশে ফিরে যেতে পারছে না, আমরা সবার কথা ভেবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে আমরা অভিবাসী বাংলাদেশিদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
ইতিপূর্বে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, করোনায় আক্রান্ত নন/কোনো উপসর্গ নেই এই মর্মে সৌদি কর্তৃপক্ষ-কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট বিমানে প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে তা জমা দিতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সম্পর্কিত সকল সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য-বিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।