রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও আস্থার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই প্রয়াস আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন।
আগামীকাল ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সব সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
এ সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ ও ত্রিশ লাখ শহিদসহ মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের স্মরণ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জাতীয় সংকট মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুন: সাবিনাদের রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
এ বছর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ববোধ, ধৈর্য ও দেশপ্রেম সাধারণ মানুষের প্রশংসা অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।
বাণীতে তিনি আরও বলেন, একটি শক্তিশালী, আধুনিক ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অন্যতম পূর্বশর্ত। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাহিনীসমূহে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম, যা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে বাহিনীর সদস্যগণ সর্বদা রাষ্ট্র ও নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির অপসারণের চেষ্টার পেছনে নির্বাচন বিলম্বের চক্রান্ত দেখছে বিএনপি
সবশেষে সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সব সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’