শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি আশীষ কুমার দে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ এ সুপারিশগুলো উত্থাপন করেন। তারা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঈদে যাতায়াত পরিস্থিতির আলোকে সুপারিশগুলো তৈরি করা হয়েছে।
এসসিআরএফের সুপারিশগুলো হলো- দুর্ঘটনা রোধে সারা দেশে রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ, বাস টার্মিনাল ও কাউন্টারগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব টার্মিনাল ও মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাসের ছাদে, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে যাত্রী পরিবহন বন্ধে জাতীয় মহাসড়ক, আন্তজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা।
সারা দেশে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সব জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং দূরপাল্লার সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল ও বেআইনিভাবে ওভারটেকিং বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করা হয়েছে।
সেই সাথে জাল লাইসেন্সধারী ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের গাড়ি চালানো ও চলন্ত অবস্থায় চালকদের মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে ক্ষমতা দেয়া এবং জাতীয় মহাসড়ক ও আন্তজেলা সড়কে অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ তিন চাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধের কথা বলা হয়েছে।
আরও সুপারিশের মাঝে আছে- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলাগুলোর নির্বিঘ্ন সড়ক যোগাযোগের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে নিরবচ্ছিন্ন ফেরি ও লঞ্চ চলাচল নিশ্চিতকরণ এবং ঈদের আগে শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া এবং ঈদের পরে কাঁঠালবাড়ি ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাত দিন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোর তৎপরতা পরিচালনা।
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুঃসহ যানজট রোধে সড়ক-সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ ও ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সব আন্তজেলা রুটের নৈশবাস ছাড়ার আগে যাত্রীদের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা সংরক্ষণের সুপারিশ দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে এসসিআরএফ নেতারা বলেন, দূরপাল্লার সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলমান থাকায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এবার ঝড়বৃষ্টির মৌসুমে ঈদ উদযাপিত হওয়ায় সড়কও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া সারা বছর যে হারে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে তাতে জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক তো রয়েছেই। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সুপারিশগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
জননিরাপত্তার স্বার্থে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এ ১২ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান এসসিআরএফের নেতারা।