মহাসড়ক
ইটভাটা ভাঙার প্রতিবাদে সাভারে মহাসড়ক অবরোধ
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাভারে ইটভাটা ভাঙার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইটভাটা মালিক-শ্রমিকরা। বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে যানজটে আটকে পড়েন অসংখ্য সাধারণ যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টা থেকে বলিয়ারপুরে ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবরোধকারীরা জানান, সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে সাভারে বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ইটভাটা মালিক সমিতির মালিক ও শত শত শ্রমিক একজোট হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা প্রশাসনকে নতুন করে ইটভাটা ভাঙা বন্ধ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম-ওলামাদের মহাসড়ক অবরোধ
পরে বিকাল ৩টার দিকে বিপুল সংখ্যক সেনাসদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বকর সরকার বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ চিহ্নিত ইটভাটাগুলো ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে আরও কিছু অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দেওয়ার তালিকা রয়েছে আমাদের কাছে।’
১০ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম-ওলামাদের মহাসড়ক অবরোধ
হেফাজতে ইসলামের আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলী মোড় এলাকা অবরোধ করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু করে দুপুর ১টা পর্যন্ত আলেম ওলামা ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই অবরোধ কমসূচি পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
এ সময় বক্তরা বলেন, ২০১৬, ২০২০ ও ২০২১ সালে হেফাজতের আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা মুক্তি পেলেও আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। যদি প্রশাসন থেকে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না দেওয়া হয়, তাহলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়া হবে।
এ সময় ৩ ঘণ্টা অবরোধ চলাকালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরায় মহাসড়কের দুপাশে যানজট তৈরি হয়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের।
১৬ দিন আগে
মন্ত্রণালয়ে আটকে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের কাজ
২০ বছর আগে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার পথ বাসে যেতে লাগত সোয়া ঘণ্টা। অথচ এত বছর ধরে দেশে এত উন্নয়নের পরও এখন লাগে পৌনে দুই ঘণ্টা। সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ায়, এই প্রতিনিয়ত যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে সুনামগঞ্জবাসীর।
কথাগুলো বলছিলেন এই মহাসড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির সভাপতি খসরুল আলম।
অপ্রশস্থতার কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজট থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি একটি নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও প্রায় এক বছর ধরে তা মন্ত্রণালয়ে আটকে রয়েছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগ বলছে, এ মহাসড়কের দুটি স্থান মিলে পাঁচ দশমিক আট কিলোমিটার সড়ক চার লেন করাতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরপর সিলেট তত্ত্বাবধায়ক অফিস থেকে দরপত্র গ্রহণ শেষে তা সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে সেটি সরকারি ক্রয় কমিটিতে যাবার কথা, অথচ এখনও সরকারি ক্রয় কমিটিতে যায়নি এই প্রকল্প।
সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, ২৫ লাখ মানুষের জেলা সুনামগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও ট্রাক মিলিয়ে অন্তত ১২শ গাড়ি প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পাশাপাশি পাঁচ হাজারের বেশি সিএনজিচালিত তিন চাকার যানসহ অসংখ্য ছোটবড় গাড়ি চলে এই সড়কে। অথচ সড়কটির কেবল জেলা শহরের তিন দশমিক আট কিলোমিটার ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরের দুই কিলোমিটার চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের একজন প্রকৌশলী জানান, সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ার থেকে ওয়েজখালী পাড় হয়ে পৌর কলেজ পর্যন্ত এবং উজানীগাঁও থেকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদর পাড় হয়ে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট পর্যন্ত চার লেন সড়ক করার উদ্যোগ নিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা।
ওই প্রকৌশলী জানান, এই দুইটি স্থান চার লেনে উন্নীত করতে দরপত্র আহ্বান করার পর তা গ্রহণও করা হয়েছে। পরে এগুলো অনুমোদনের জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সরকারি ক্রয় কমিটিতে যাওয়ার কথা, কিন্তু তা এখনও হয়নি।
তিনি জানান, সরকারি ক্রয় কমিটি থেকে অনুমোদনের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় কাজ। তবে ক্রয় কমিটিতেই দরপত্র এখনও পৌঁছেনি, ফলে প্রক্রিয়াটি থেমে আছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দেওয়া তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের পাঁচটি পরিবহন মালিক সমিতির প্রায় পাঁচশ গাড়ি প্রতিদিন সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে চলাচল করে। এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে প্রতিদিনঅন্তত ৮০টি আন্তঃজেলা বাস আসা-যাওয়া করে। ছাতক ও দিরাই থেকেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পথ দিয়েই যাওয়া আসা করে বাসগুলো। সব মিলিয়ে আন্তঃজেলা বাসের সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়ে যাবে।
এছাড়া জেলাজুড়ে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস আছে আরও প্রায় পাঁচশ, ট্রাক আছে একশর মতো। এসব যানবাহনের যাতায়াতও এই পথ হয়েই।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি ছোট যানবাহনের চলাচলও বেড়েছে। জেলায় বৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশাই আছে পাঁচ হাজার তিনশর মতো। অবৈধ মিলিয়ে এই সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এগুলোর বেশিরভাগেরই যাতায়াতের প্রধান পথ সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক। এ ছাড়াও জেলায় লেগুনা আছে প্রায় দুইশ। ২৪ ফুট প্রশস্ত এই সড়ক এত যানবাহনের চাপ নিতে পারে না বলে দাবি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের।
আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সদস্য, জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ককে দ্রুত চার লেনে উন্নীত করতে হবে। সেই সঙ্গে সুনামগঞ্জ-পাগলা-আউশকান্দি সড়কটিও স্থানে স্থানে চার লেনে উন্নীত করা প্রয়োজন।’
সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের দুটি স্থান মিলে পাঁচ দশমিক আট কিলোমিটার সড়ক চার লেন করার দরপত্র ২০২৪ সালের জুলাই মাসেই হয়েছিল। দরপত্র গ্রহণ শেষে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি ক্রয় কমিটিতে যাবার কথা। তবে এখনও সেটি সরকারি ক্রয় কমিটিতে যায়নি বলে জেনেছি আমরা।’
কবে নাগাদ ক্রয় কমিটি হয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে—জানতে চাইলে ‘ধারণা নেই’ বলে জানান এ কর্মকর্তা।
৩৬ দিন আগে
পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অবরোধ প্রত্যাহার
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকায় পুরোনো একটি সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে পাঁচ ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোলড়া গ্রামের শত শত মানুষ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে যান অবরোধকারীরা।
অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোলড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের পুরনো একটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে তারাসিমা অ্যাপারেলস ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি কোম্পানি। প্রায় শত বছরের পুরোনো সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে।
এর জেরে সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে ধানকোড়া ইউনিয়নে তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের গেট-সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেয় গ্রামবাসী। এর মধ্যে দুই কোম্পানির প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও অবরোধকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনাও হয়েছে। তবে সুরাহা না হওয়ায় অবরোধ তুলে না নেওয়ার পক্ষে অনড় ছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘দুই কোম্পানির সুবিধার্থে’ সড়কে দেওয়াল, ক্ষোভে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
অবরোধকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের টাকা দিয়ে সড়কে রাতারাতি পাকা দেওয়াল তুলে দেয় কোম্পানিদুটির লোকজন। আজ (বুধবার) অবরোধ করলে কোম্পানির প্রতিনিধিরা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে কয়েক দফায় তাদের সরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যতক্ষণ না সড়ক খুলে দেওয়া হবে, ততক্ষণ তারা মহাসড়ক ছাড়বেন না বলে জানান। তবে প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে এবং জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবেশেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।
গোলড়া গ্রামের কয়েকশ বাসিন্দা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকেল সাড়ে ৪টায় অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, বেলা সোয়া ১১টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গোলড়া গ্রামের মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নিলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।
৪৪ দিন আগে
‘দুই কোম্পানির সুবিধার্থে’ সড়কে দেওয়াল, ক্ষোভে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া এলাকার পুরোনো একটি সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে পাঁচ ঘণ্টা ধরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন গোলড়া গ্রামের কয়েক শ’ বাসিন্দা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোলড়া গ্রামের শত শত মানুষ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোলড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের পুরনো একটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে তারাসিমা অ্যাপারেলস ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের দুটি কোম্পানি। প্রায় শত বছরের পুরোনো সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কাওরানবাজারে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, যানজট
এর জেরে সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে ধানকোড়া ইউনিয়নে তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের গেট-সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেয় গ্রামবাসী। এর মধ্যে দুই কোম্পানির প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও অবরোধকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনাও হয়েছে। তবে সুরাহা না হওয়ায় অবরোধ তুলে নিচ্ছেন না তারা।
অবরোধকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের টাকা দিয়ে সড়কে রাতারাতি পাকা দেওয়াল তুলে দেয় কোম্পানিদুটির লোকজন। আজ (বুধবার) অবরোধ করলে কোম্পানির প্রতিনিধিরা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে তাদের সরানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু যতক্ষণ না সড়ক খুলে দেওয়া হবে, ততক্ষণ তারা মহাসড়ক ছাড়বেন না।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, বেলা সোয়া ১১টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গোলড়া গ্রামের মানুষ মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে। এতে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। দুপক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। আশা করি বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।
৪৪ দিন আগে
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় মাহমুদ জিন্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এই অবরোধ করেন।
শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা চন্দ্রা ফ্লাইওভারের সংযোগ সড়কের উভয়পাশে অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
এতে ওই সড়কে যানজট লেগে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন জানান, ওই এলাকায় কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। শ্রমিকদের সড়ক থেকে বুঝিয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুরে বেক্সিমকোর শ্রমিকদের ফের মহাসড়ক অবরোধ
১০৬ দিন আগে
৩ দিন পর ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক যান চলাচল শুরু
তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে টানা তিনদিন পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করেছে গাজীপুর মহানগরের মোগরখাল এলাকার টিএন্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
এর আগে শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই অবরোধ শুরু হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের অডিও বার্তা দিয়ে তাদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের পাওনার ৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার।
বাদবাকি পাওনা দিয়ে পরিশোধের ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের বৈঠক হবে।
তিনি বলেন, গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে শ্রমিকদের ৫ সদস্যের টিম মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করতে যাবেন। সেখানেই আলাপ-আলোচনা করে বকেয়া মেটানোর চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আরও বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, বিজেপি সদস্য ও শিল্প পুলিশের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই দীর্ঘ যানজটে থাকা যানবাহন আস্তে আস্তে চলতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি, উৎপাদনে ধস
বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে আন্দোলনে শ্রমিকরা, চা উৎপাদনে ধস
১২৩ দিন আগে
ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ও মামলা প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ গণমিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শুক্রবার (২ আগস্ট) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সারা দেশে 'রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ' ক্যাম্পেইন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
২২৪ দিন আগে
কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। এসময় দুই পাশে শতশত যানবাহন আটকে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: 'বৈষম্যমূলক' পেনশন স্কিমের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী বাদে সব কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানায় তারা। এই দুই কোটা এক বারের বেশি কার্যকর না করার দাবিও জানান তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা পদ্ধতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অভিশাপ। কোটা সুবিধায় বিশেষ কিছু ব্যক্তির সুবিধা হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়।
তারা আরও বলেন, মেধাবীদের প্রতিযোগীর মাঠ সমান্তরাল করতে হবে। মেধাবীরা বেকার থাকলে দেশ পিছিয়ে যাবে। তাই অবিলম্বে দুটি কোটা বাদে সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। নয়তো এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতিতে ববি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বকে আমরা সম্মান করি: মার্কিন দূতাবাস
২৫৫ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকের ডোপটেস্টসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে
মহাসড়কে নিরাপদ ও মৃত্যুর মিছিল থামাতে ফরিদপুরে যানবাহনের ফিটনেস টেস্টের পাশাপাশি চলছে চালকদের ডোপটেস্টসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
রবিবার দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মুন্সিবাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে বিআরটিএ, সিভিল সার্জনের চিকিৎসক টিম ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে ১৫ দোকান
এসময় বিভিন্ন গাড়ির কাগজপত্র, চালকদের ডোপটেস্ট ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
‘বেপরোয়া নয়, গতিসীমার মধ্যে গাড়ি চালান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করুন’ এই স্লোগান সামনে রেখে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির কাগজপত্র যাচাইয়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এসময় চালকদের রক্তচাপ ও ডায়াবেটিক পরীক্ষার পাশাপাশি ডোপটেস্টও করা হয়।
অভিযানে দুই ট্রাকচালকের ডোপটেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ পাওয়া যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুজিবুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুরের বিভিন্ন মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গাড়ির ফিটনেস চেকের পাশাপাশি চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, নেশাগ্রস্ত ও অসুস্থ চালকরা গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এসময় বিভিন্ন দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষার করার সঙ্গে চালকদের প্রেসার মাপা, ডায়াবেটিক টেস্ট ও ডোপটেস্ট করা হয়। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন অনিয়মে ৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। এছাড়া ডোপটেস্ট পজিটিভ থাকায় দুজন গাড়ি চালককে আটক করে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয় এবং ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিআরটিএ’র পরিদর্শক এনামুল হক ইমন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিনসহ আরও অনেকে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, আমরা ফরিদপুরের মহাসড়কগুলোতে মৃ্ত্যুর মিছিল থামাতে চাই। যেহেতু এই অঞ্চল দুর্ঘটনা প্রবল, সে কারণেই আমরা ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান অব্যাহত রাখব।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ দিন পর সুন্দরবনে আগুন নেভানোর ঘোষণা
৩০৬ দিন আগে