আসামিপক্ষের করা জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, এ বছর সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় ছিল পেঁয়াজ। পেঁয়াজ নিয়ে সরকারের মেগা প্রকল্পসহ সব বড় অর্জন ম্লান হওয়ার উপক্রম হয়। তাই মজুতের অভিযোগে এ আসামিকে জামিন দিলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে। এ কারণে চার্জশিট বা পুলিশ রিপোর্ট না হওয়া পর্যন্ত এ আসামিকে জামিন দেয়া উচিত হবে না।
পরে আসামির আইনজীবী জামিন আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজের আবেদন করলে আদালত খারিজের আদেশ দেয়।
একজন খাদ্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে লক্ষীপুর থানায় এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেনীর ব্যবসায়ী মইন উদ্দিন ৪২ বস্তা পেঁয়াজ কিনে মজুত করেন। যার পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৪০০ কেজি। মামলায় গত ১৬ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে আদালত নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায়। এরপর তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতেও তার জামিন হয়নি।