ফলে এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচ দেশের বাজারে আসতে শুরু করেছে।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে বন্দরের মোকামে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ মানভেদে ৯০-১১০ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে দাম আরও কমবে বলে জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে অতিবর্ষণ ও বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে এসব অঞ্চলে কাঁচা মরিচের আবাদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে কাঁচা মরিচের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গিয়ে ১২০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।
বন্দরের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার আমদানি করা প্রথম চালানটিতে প্রায় ১৯০শ’ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি করতে সরকারকে ২১ টাকার মতো শুল্ক দিতে হচ্ছে। বাজারে দামের ঊর্ধ্বমুখী ঠেকাতে এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে শুল্ক কমানো হলে ব্যবসায়ীরা বেশি করে আমদানি করতে পারতেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ও রবিবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরের মোকামে বর্তমানে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ মান ভেদে ৯০-১১০ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরও দাম কমবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
হিলিসহ বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১০-১২ দিন আগে কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল। কোথাও কোথাও হঠাৎ করেই এক সপ্তাহ ধরে দাম বেড়ে ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। শনিবার ভারতীয় কাঁচা মরিচের আমদানির খবরে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে মান ভেদে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নুর আমীন জানান, এ বন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি। কিন্তু দেশে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার থেকে ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করছেন। আমদানি করা পণ্যটির দ্রুত শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ব্যবসায়ীদের খালাসের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে তারা সঠিক সময়ে বাজারে সরবরাহ করতে পারেন।